প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২০:০৭ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২৪ পিএম
আগামী বছর হজের খরচ ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কমানো হলেও বিভিন্ন খাতে তা আরও কমানো সম্ভব বলে মনে করছে হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব)। এ ছাড়া আগামী বছর হজযাত্রীদের বিমানভাড়া কারিগরি কমিটির মাধ্যমে পুনর্নির্ধারণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
রবিবার (৫ নভেম্বর) হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমের সই করা দাবিসংবলিত আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে।
২ নভেম্বর ‘হজ প্যাকেজ-২০২৪’ ঘোষণা করেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এতে সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। এর মধ্যে বিমানভাড়া ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। যা গত বছরের চেয়ে ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কম।
হাবের আবেদনপত্রে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলা হয়, আপনার সরাসরি নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বিগত বছরগুলোয় বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা সৌদি সরকারের কাছেও প্রশংসা পেয়েছে। বাংলাদেশের হজযাত্রীদের কল্যাণে ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আপনার নেওয়া সব পদক্ষেপ এরই মধ্যে সর্বমহলে সমাদৃত।
হজযাত্রীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রথা বাতিল, আধুনিক ই-হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীদের সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্নকরণ, আশকোনা হজ ক্যাম্প সংস্কার ও বর্ধিতকরণসহ হজযাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনকল্পে সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য আপনি যে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন তা বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এজন্য বাংলাদেশের সব হজযাত্রী ও হজ এজেন্সির পক্ষ থেকে আপনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
এতে বলা হয়, পবিত্র হজের সঙ্গে বাংলাদেশের মুসলমানদের আবেগ-অনুভূতি নিবিড়ভাবে জড়িত। বিষয়টি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্পর্শকাতর। কেবল হজযাত্রীদের পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশিই নয়, বাংলাদেশের সব মুসলিম নাগরিক হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে। নির্ধারিত ভাড়া বিগত বছর থেকে ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কম হলেও বিভিন্ন বিষয়াদি বিবেচনায় আরও কমানো সম্ভব।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমানের একক কর্তৃত্বে ভাড়া নির্ধারণ যথাযথ হয়নি বলে মনে করে হাব কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ।
বর্তমানে এয়ারলাইনসগুলো প্রায় ৭৫ হাজার টাকায় ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে রিটার্ন টিকিট বিক্রি করছে জানিয়ে আবেদনে বলা হয়, সেগুলো প্রায় ২০ শতাংশ আসন খালি রেখে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। হজের সময় প্রায় শতভাগ যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট গমন করে। এ ছাড়া ফিরতি ফ্লাইটের পরিচালনা ব্যয়ও কম। সাধারণ ফ্লাইটের বিপণন ও সিস্টেম পরিচালনায় অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়, যা হজের ফ্লাইটে করতে হয় না। সে হিসাবে ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটের সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিমানভাড়া হতে পারত।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে চিঠিতে আরও বলা হয়, আপনি হজযাত্রীদের কল্যাণে সর্বদাই নিবেদিত এবং আধুনিক ও কল্যাণমুখী হজ ব্যবস্থাপনায় আপনার ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা কেবল আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। অতএব বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় একটি স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিমানভাড়া কমিয়ে হজ প্যাকেজ পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।