× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পেট্রোল বোমা হামলায় জনমনে বাড়ল আতঙ্কের পারদ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৩ পিএম

আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৪ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দফার অবরোধের প্রথম দিনে সারা দেশে অন্তত দুই জায়গায় পেট্রোল বোমা হামলার খবর এসেছে। এর মধ্যে প্রথম হামলা হয়েছে রাজধানীর বনশ্রীতে। দ্বিতীয়টি হয়েছে সিলেটের পারাইরচক জলকরকান্দি এলাকায়। রাজনৈতিক আন্দোলন ঘিরে নতুন করে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

তারা বলছে, ২০১৩-১৪-১৫ সালে সারা দেশে ব্যাপক পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এর শিকার হয়েছিল সাধারণ মানুষ। হরতাল কিংবা অবরোধ– যাইহোক, চাকরিজীবী মানুষকে আতঙ্ক মাথায় নিয়ে ছুটতে হয় কর্মস্থলে। রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনে নির্মমতার শিকার কেন সাধারণ মানুষ হবে?

যেভাবে ফিরে এলো পেট্রোল বোমা

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়। দশম জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৩-১৪-১৫ সালে সারা দেশে ব্যাপক সরকারবিরোধী আন্দোলন করে বিএনপি। ওই সময়ে প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও পেট্রোল বোমা হামলার খবর পাওয়া যেত। সরকারি হিসাবে, শুধু ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে পেট্রোল বোমা হামলার শিকার হয়ে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়। ৫৫০ জন আহত হয়। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে এ ধরনের সহিংসতা খুব একটা দেখা যায়নি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করেছে রাজপথের প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ পালনের মাধ্যমে সেই আন্দোলনের ধারায় ফিরেছে দলটি। দ্বিতীয় ধাপে রবি (৫ নভেম্বর) ও সোমবার সারা দেশে দলটি অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।

বিএনপির প্রথম ধাপের অবরোধের সময় থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণসহ অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পেট্রোল বোমা উদ্ধারের খবর দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই বোমাসহ অনেকে আটকও হয়েছে।

বিএনপির অবরোধের দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিনেই দেশের দুই জায়গায় পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর বনশ্রীতে অছিম পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। আগুন লাগা মাত্র চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে ফেলে দেয় বাসটি। এতে বাসচালক সবুজ দগ্ধ হয়েছেন।

একই দিন সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইরচক জলকরকান্দি এলাকায় একটি খাদ্যপণ্যবাহী পিকআপ ভ্যানে পেট্রোল বোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে আগুন ধরে গাড়ির সামনের অংশ পুড়ে যায়। এ সময় পুলিশ এক পিকেটারকে আটক করে।

জনমনে আতঙ্ক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা রাসেল মাহমুদের কর্মস্থল কুড়িল বিশ্বরোড। নিয়মিত তাকে গণপরিবহনে যাতায়াত করতে হয়।

রাসেল বলেন, ’বাসে ওঠার সময়ই মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক থাকে। তারপর তো কখন পৌঁছাব, ঠিকভাবে পৌঁছাতে পারব কি না– এসব চিন্তা তো থাকেই।’

যাত্রীদের নিরাপত্তায় বাসচালক ও সহকারীদের সতর্ক থাকতে দেখেছেন রাসেল। তিনি বলেন, ’তারা যাত্রীদের বাসের জানালা খোলা রাখতে দেন না। এখন তো বাসের জানালা দিয়েই আগুন দেওয়া হয়।’

মিরপুর-১ নম্বর থেকে কারওয়ান বাজার এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত করে কর্মস্থলে যোগ দেন গাজী কাইয়ুম। তিনি মনে করেন, বাসে আগুন দেওয়া বা পেট্রোল বোমা হামলা বন্ধ করার জন্য সাধারণ মানুষের সচেতনতা বেশি দরকার। মানুষ সচেতন থাকলেও এ ধরনের ঘটনা সহজে ঘটানো সম্ভব হবে না। তা ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনে নির্মমতার শিকার কেন সাধারণ মানুষ হবে– এমন প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।

কায়ুইম বলেন, ’আমরা তো চাকরি করি ভাই। অফিস না গেলে তো বেতন কাটবে কর্তৃপক্ষ। সংসার চালানো তখন দায় হয়ে যাবে। বাসা থেকে না বের হয়ে কোনো উপায় নেই। আজ শুনলাম বাসের ভেতর নাকি পেট্রোল বোমা মারছে। সেই ৬-৭ বছর এ রকমটা শুনতাম প্রতিদিন। আমার চেয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা বেশি চিন্তিত থাকে, ঠিকভাবে বাসায় ফিরতে পারব কি না।‘

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা