আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৭ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৩ পিএম
ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি কারখানার কর্তৃপক্ষের আলাদা আলাদা করা এসব মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। ফাইল ফটো
ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সপ্তাহখানেক ধরে চলা শ্রমিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার আশুলিয়ায় একাধিক কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি কারখানার কর্তৃপক্ষের আলাদা আলাদা করা এসব মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক উত্তর বিভাগ) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী জানান, আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ছেইন এ্যাপারেলস লিমিটেড, বেরন সরকার মার্কেট এলাকার হামীম গ্রুপের নেক্সট কালেকশন্স লিমিটেড এবং ধনাইদ ইউসুফ মার্কেট এলাকার ডিসাং সোয়েটার লিমিটেড কারখানা কৃর্তপক্ষ মামলাগুলো দায়ের করে।
এজাহারের বরাতে তিনি জানান, গত ৩১ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে কাঠগড়ার ছেইন এ্যাপারেলস কারখানায় উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক ও বহিরাগতরা ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামালা হয়েছে। বাদী কারখানার ডিজিএম (অপারেশন) মো. আনিসুর রহমান।
একই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ধনাইদ এলাকায় ডিসাং সোয়েটার কারখানায় ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে। এছাড়া আগের দিন হামলা হয় হামীম গ্রুপের নেক্সট কালেকশন্স লিমিটেডে কারখানায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ৫০০ থেকে ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এদিকে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা সাত দিন বিক্ষোভের পরে কাজে ফিরেছেন শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পোশাক শ্রমিকরা। আজ রবিবার সকালে আশুলিয়ার ইউনিক, কাঠগড়া, বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুরসহ আশপাশের এলাকার পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এমন পরিস্থিতিতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারে এসব এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এবং কারখানার সামনে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। র্যাবের একটি টিমকে নিয়মিত টহল দিতে দেখা গেছে।
নেক্সট কালেকশন্স লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফরহাদ উদ্দীন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আজ শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। কারখানা চলছে। প্রায় সাত দিন ধরে চলে আসা মজুরি বৃদ্ধির দাবির আন্দোলনের পর আজ রবিবার আশুলিয়া একেবারেই শান্ত।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে আজ সকাল থেকেই আশুলিয়ার শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।