× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

তবু মনে রেখো

সংসদের শেষ অধিবেশনে বিরোধীদলীয় এমপির আবেগঘন বক্তব্য

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৩৩ পিএম

সংসদের শেষ অধিবেশনে বিরোধীদলীয় এমপির আবেগঘন বক্তব্য

২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল একাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে সংসদের অধিবেশন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। সংসদের মেয়াদ আরও তিন মাসের মতো থাকলেও অধিবেশন আর বসছে না।

এ হিসাবে বৃহস্পতিবার ২৫তম অধিবেশনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন। এদিন সংসদে পাস হয়েছে সাতটি বিল। বিল পাসের আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। অধিবেশনের শেষ দিনে অনেকটা আবেগঘন বক্তব্য দেন তারা। বারবার উল্লেখ করেন, আবার দেখা হবে কিনা। কোনো কোনো এমপি কবিতা আবৃতি করেও বিদায় জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর ভূমিকার প্রশংসা করেন বিরোধী দলের এমপিরা। সব মিলিয়ে তাদের কণ্ঠে ছিল বিদায়ের সুর।

বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম স্পিকারকে বলেন, আপনার নেতৃত্বে আমরা এই ১০ বছর কাটালাম। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি জীবনে আরও এগিয়ে যান। আরও নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, আজকে আবহাওয়াটা এমন হয়েছে, যেন আজকেই শেষ…। আগেই বলেছি, আজকে বোধহয় শেষ হবে। আমরা কে কোথায় কীভাবে থাকি জানিন না। পরে তিনি ‘তবু মনে রেখো’ কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। তার আবৃত্তি করা কবিতাটির অংশ ছিল—‘তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে…’

সংসদে জাতীয় পার্টি প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আমরাও সংসদে অপজিশন। আমি মনে করি, বিরোধী দলের এমপিরা আমরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। এমন কোনো বিল নেই যেটা নিয়ে আলোচনা করিনি। জনগণের স্বার্থে এমন কোনো ইস্যু নেই যেটা নিয়ে কথা বলিনি। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনাও আমরা করতে পেরেছি। কোনোরকম বাধা পাইনি। আমাদের ভূমিকাটি ছিল সন্তুষ্টির জায়গা।

তিনি আরও বলেন, আমি একটু অন্যভাবে বলতে চাই। একটু বিষাদের মতো। বলতে চাই, ‘বিদায় দে মা আবার ঘুরে আসি।’ স্পিকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার সঙ্গে আমার একাধিক সম্পর্ক। একটি হচ্ছে এই সংসদে আপনি আমার স্পিকার। আরেকটা হচ্ছে, আপনি আমার এলাকার বউমা। আমার আগের স্পিকার ছিলেন আমার এলাকার জামাতা। দুইজন স্পিকারের শ্বশুরবাড়ি আমার এলাকায়। এটা অনেক বড় বিষয়।  আপনি আর আমি দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগের স্টুডেন্ট। আমি টেনেটুনে পাস করা। আপনি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। অক্সফোর্ডের পিএইচডি করা। ঢাবির ছাত্র হিসেবে আমরা আপনাকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আপনি সফল স্পিকার, আপনার জন্য দোয়া করি।

দলটির এমপি রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, আমরা জানি না ভবিষ্যতে কারা আসবেন। আল্লাহ যাকে লিখে রাখছেন আরা আসবে। ক্ষমতা দেওয়ার মালিক আল্লাহ। সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ। এজন্য হতাশার কোনো কারণ নেই।

পীর ফজলুর রহমান বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীসহ বর্ণাঢ্য ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসার সুযোগ পেয়েছি। শেষ দিনের শেষ কার্যদিবস। কথা বলার অবারিত সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আমরা বার বার কথা বলেছি। মানুষের স্বার্থে কথা বলেছি। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করার জন্য কথা বলিনি। কোনো মন্ত্রীর থেকে ব্যক্তিগত সুবিধা আদায়ের জন্য কথা বলিনি।

জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান বলেন, দুই বছর করোনার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। তিন বছর আমরা তেমন কোনো কাজ করতে পারি। বিষয়টি যেন প্রধানমন্ত্রী…তার কথার রেশ ধরে দলটির আরেক সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, উনি পরোক্ষভাবে সংসদের মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলতে চাচ্ছেন। স্পিকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি সুন্দরভাবে সংসদ চালিয়েছেন। বিদেশে সম্মেলনে গিয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা এই সংসদে ছিলাম। আবার আসতে পারি কিনা জানি না। হয়তো দেখা হবে। এত বড় জায়গায় আল্লাহর হুকুম ছাড়া কেউ আসতে পারে না। হয়তো অন্য কোথাও দেখা হবে। আমরা কোনো ভুলত্রুটি করলে ক্ষমা করবেন। আপনাকে কখনও ভুলতে পারব না। সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা—আমরা একসঙ্গে ছিলাম। আবার একসঙ্গে কবে হব আল্লাহ জানেন।

রওশন আরা মান্নানের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমাদের সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বললেন, দুই-তিন বছর নষ্ট হয়ে গেছে। উনি পরোক্ষভাবে সংসদের মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলতে চাচ্ছেন। আমি যেটা বুঝেছি। উনি পরোক্ষভাবে বলেছেন, আমি সোজা মানুষ তো, তাই সোজাভাবে বললাম। একটু বিবেচনা করে দেখতে পারেন।

শামীম হায়দার বিলের সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে বলেন, বিগত পাঁচ বছর এই সংসদে ছিলাম। অসংখ্য মিনিট আমরা কথা বলেছি। আপনি সুযোগ দিয়েছেন—অত্যন্ত সুন্দর ও ফেয়ারলি। অনেকের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছি এবং কঠোরভাবে সমালোচনা করেছি। সবাই তা শুনেছেন। কখনও উগ্র ভষায় জবাব দেননি। এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল। দেশের কিছু স্বার্থও এর মধ্য দিয়ে আমরা করেছি। আপনি আমাদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহাশীষ। জুনিয়র সংসদ সদস্য হিসেবে অনেক কথা বলেছি। অনেকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। এজন্য ক্ষমতা চাচ্ছি। তবে আমরা জনগণের জন্য কথা বলেছি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা