প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৯ পিএম
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৫৬ পিএম
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ছবি তুলেছেন আলী হোসেন মিন্টু। প্রবা ফটো
বিএনপি ও জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি প্রথম দিন সুনসান নীরব সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা। অন্য দিনের মতো নেই হাঁকডাক। নেই যাত্রীদের কোলাহল। সকাল থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাইনি দূরপাল্লার কোনো বাস। তবে ঢাকা থেকে কুমিল্লা বা পার্শ্ববর্তী এলাকায় এক-দুটি বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। ফলে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল অনেকটাই ফাঁকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, জনপথ মোড়ে ও কাউন্টারের সামনে যাত্রী নেই। দূরপাল্লার বাসের কাউন্টার বন্ধ। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে না।
এদিকে সড়কে যানবাহন কম থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এসব এলাকায় অবরোধের সমর্থনে কোনো মিছিল-পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।
সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে ইউনিক পরিবহনের দেখা যায়, কোনো যাত্রী নেই, কাউন্টারে বসে আছেন ইউনিট পরিবহনের দুই টিকিট বিক্রেতা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, মালিকের নির্দেশ কোনো গাড়ি ছাড়া হবে না। ভোর থেকে একটি বাসও এখান থেকে ছেড়ে যায়নি। এত দামি গাড়ি রাস্তায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় নেবে কে? তাই ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।
ওই এলাকায় হানিফ পরিবহন, ফালগুন পরিবহন, শ্যামলীসহ বেশ কিছু পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ দেখা গেছে। কিছু কাউন্টারে শাটার অর্ধেক নামানো দেখা গেছে। আর কিছু কিছু কাউন্টার খোলা থাকলেও বাস বন্ধ রয়েছে তাদের।
এর মধ্যে দোলা পরিবহনের ঢাকা-পিরোজপুর রুটের এবং ঢাকা-বাগেরহাটের রুটের তিনটি বাস ছেড়ে গেছে।
টিকিট বিক্রেতা আল-আমিন জানান, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের তিনটি বাস ছেড়ে গেছে। তবে অন্যান্য দিনের এই সময়ে অনেক বেশি বাস তাদের ঢাকা ছেড়ে যায়।
ফালগুন পরিবহন কাউন্টার ম্যান সুমন জানান, প্রতিদিন ঢাকা-খুলনা রুটে তাদের ২০ থেকে ২৫ টা বাস যাতায়াত করে কিন্তু সোমবার সন্ধ্যা থেকে কোনো বাসা ঢাকা ছেড়ে যায়নি এবং ঢাকা থেকেও আসেনি।