প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০৮ পিএম
বিআইসিএসএএ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিজয়ী এবং অতিথিরা। প্রবা ফটো
প্রথমবারের মতো আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা অ্যাওয়ার্ড (বিআইসিএসএএ) পেয়েছেন ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। চারটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে বিজয়ীরা পেয়েছেন ১০ হাজার ডলারের আর্থিক পুরস্কার। ২০২২ সালে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’ এর মাধ্যমে এই অর্থায়ন সংগৃহীত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার পর তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ বছর শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে প্লেন্টি প্রোজেক্ট নিয়ে স্মার্ট স্টুডেন্ট হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন সেন্ট জোসেভ স্কুলের শিক্ষার্থী তামজিদ রহমান। তিনি ‘জানলে আইন, নিরাপদ অনলাইন’ স্লোগানে নিরাপদ অনলাইন সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছেন। পাশাপশি এন্টরপ্রেনিউর্স ক্যাটাগরিতে ভারতের ‘অ্যান্ড নাও ফাউন্ডেশন’, স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে ‘বাইট ক্যাপসুল’, সরকারি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং বিশেষ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে ‘পথচলা ফাউন্ডেশন’।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফেন লিলার, আইসিটি সচিব সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফর উল্লাহ, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ কামরুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাইবার নিরাপত্তার জন্য চারটি বিষয় নিশ্চিত করা জরুরি। প্রথমত, সচেতনতা, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সকল স্তরের সচেতনতা নিশ্চিত করা জরুরি। দ্বিতীয়ত, টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট। তৃতীয়ত, ডেভেলপমেন্ট পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক এবং চতুর্থ, ইন্টারন্যাশনাল ক্রসবর্ডার কলাবোরেশন। আরও বেশি প্রাইভেট সেক্টরের ইনিসিয়েটিভ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি পদক্ষেপ জরুরি।। কারণ সব স্তরের ইনভলমেন্ট ছাড়া আমরা সফল হতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, সবাই জিমেইল ব্যবহার করেন কিন্তু জিমেইল ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে এখনও যারা হ্যাকিংয়ের শিকার হননি তারা কেউই বলতে পারবেন না যে তিনি হ্যাকড হননি। তাই আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। কেননা কেউ না কেউ ইন্টারনেটে আপনাকে নজরদারিতে রেখেছে।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফেন লিলার বলেছেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে রেঁনেসা সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল নিজস্ব সল্যুশন দিয়েই ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন ডিজিটাল খাতেও সুশাসন নিশ্চিত করার সময় এসেছে। লিঙ্গ বৈষম্য, বিদ্বেষ ছড়ানোর মতো বিষয়ে ইউএনডিপি বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে। সাইবার হুমকি মোবাবিলায় আমাদের একক উদ্যোগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।