প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ২২:২১ পিএম
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৩৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে নাগরিকদের ভোগান্তি নিরসনের পথ খুঁজছে সরকার। নানা মহলের সমালোচনা ও নাগরিক ভোগান্তির মধ্যেই সোমবার (৯ অক্টোবর) রাতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভা কক্ষে সমাধানের পথ বের করতে জরুরি সভায় বসেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্টার জেনারেল মো. রাশিদুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় সরকার ও আইসিটি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নেন।
সূচনা বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে জনসাধারণকে প্রায়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ ব্যাপারে স্থায়ী একটি সমাধান হওয়া উচিত। এই সমাধানের জন্যই সবাইকে নিয়ে সভা ডেকেছি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে আমরা আটকে থাকব, এমনটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আমার জেলা কুমিল্লায় ১৭টা উপজেলা, প্রতি উপজেলায় ৭/৮টা ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। জেলা পর্যায়ে জন্ম নিবন্ধনের একটা অফিস থাকলে সব সমস্যা সেন্ট্রালে আসত না। এটা করলে কী সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা আছে।’
এর আগে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে তাদের সমস্যা জানতে চান মন্ত্রী। কর্মকর্তারা জনবল কাঠামো ও জনবলের স্বল্পতার কথা জানান। তখন মন্ত্রী তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট করে জনবলের প্রয়োজনীয়তা জানতে চান।
কর্মকর্তারা জানান, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস স্কুলে ভর্তির জন্য বেশি জন্ম নিবন্ধনের আবেদন আসে। অনেকেই স্কুল ও ক্লাস পরিবর্তনের জন্য বাচ্চার বয়স কমানো বা বাড়ানোর জন্য জন্মনিবন্ধন সংশোধন করতে আসেন। তাই এই সময়টাতে অনেক বেশি চাপ পড়ে যায়। যা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কর্মকর্তারা জানান, ২০১৫-১৬ সালে জেলা পর্যায়ে রেজিস্টার দেওয়ার প্রস্তাব ছিল। তখন নানা জটিলতায় তা কার্যকর করা যায়নি। তখন জনবল বাড়ানোর প্রক্রিয়াও কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছায় আটকে যায়। তাছাড়া জনবাল বাড়ানোর পাশাপাশি এ সংস্থায় কারিগরি পদ বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেন তারা।