কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৩২ পিএম
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:২৫ পিএম
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। প্রবা ফটো
চীনের নিয়ন্ত্রণহীন প্রভাব ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব এবং কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেন, ‘ চীনের এ নিয়ন্ত্রণহীন প্রভাব অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে এবং আমরা সম্মিলিতভাবে যে সমৃদ্ধি চাই তা বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলনের ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রতিযোগিতা’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
পিটার হাস বলেন, ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্বাধীনতা ও উন্মুক্ততার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি এ অঞ্চলে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সমৃদ্ধির প্রচারেও বিশ্বাস করে। তবে চীনের নিয়ন্ত্রণহীন প্রভাব এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে এবং আমরা সম্মিলিতভাবে যে সমৃদ্ধি চাই সেটিকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমরা যখন সামনের দিকে এগোচ্ছি চীনের প্রভাবে আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি যেন আমরা না হারাই।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এ অঞ্চলে একটি নতুন যুগের ইঙ্গিত দিয়েছে। এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি সেটিকে কৌশলগত চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে। কর্তৃত্ববাদী শক্তি আন্তর্জাতিক বিষয়ে মৌলিক নিয়ম পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।’
ইউক্রেনে রাশিয়া যে আগ্রাসন চালিয়েছে তাতে বিশ্ব জেগে উঠেছে মন্তব্য করেছেন পিটার হাস। তিনি বলেন, ‘এটি প্রমাণ করে যে আমরা যে আদর্শ চাই, শুধু ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নয়, গোটা বিশ্বেই। আমরা সংঘাত চাই না। আমরা শীতল যুদ্ধ চাই না। তবে একটি উন্মুক্ত, সুরক্ষিত এবং সমৃদ্ধ বিশ্বের লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি এবং এটিই আমরা প্রচার করি।’
সম্মেলনের এ সেশনে সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।