× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মুরগির বাচ্চার বাড়তি দামে ফায়দা বেশি কার

ফারুক আহমাদ আরিফ

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ০০:৫৯ এএম

আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:১৯ পিএম

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

চরম অস্থিরতা চলছে দেশের পোল্ট্রি খাতে, বিশেষ করে মুরগির বাচ্চায়। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না খাতটিকে। হঠাৎই বেড়ে যাচ্ছে ডিমের দাম। সেটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ নিতে গেলেই লাগাম ছিঁড়ে যাচ্ছে মাংসের দামে। মাংসের বাজারে অভিযান চালালে আকাশছোঁয়া হয়ে যাচ্ছে বাচ্চার দাম। এমন অস্থির পরিস্থিতিতে ক্রমেই নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন প্রান্তিক খামারিরা। যদিও ফুলে-ফেঁপে উঠছে বড় গ্রুপ ও কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের সংশ্লিষ্টরা। প্রশ্ন উঠেছে- মুরগির বাচ্চার অস্বাভাবিক দাম নির্ধারণ করে দিয়ে আদতে কাকে সুবিধা দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও আনোয়ার সিমেন্ট শিটের কনসালট্যান্ট ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, এখনই শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশের পোল্ট্রি খাত ধ্বংস হয়ে যাবে। মাত্র ২২ শতাংশ উৎপাদন করা বড় শিল্পগ্রুপ ও কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের পেটে চলে যাবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাতটি। পথে বসবে ৭৮ শতাংশ ডিম ও মাংস উৎপাদনকারী প্রান্তিক খামারিরা। এর জন্য শিডিউলভিত্তিক উৎপাদন নির্ধারণ ও বিপণন আইন তৈরি করা প্রয়োজন। 

প্রসঙ্গত, আগস্টের মাঝামাঝি থেকে প্রায় দেড় মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির এক দিন বয়সি বাচ্চার দাম ২২ থেকে ৩২ টাকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি বেড়ে যায়। এ অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৫ সেপ্টেম্বর ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম সর্বোচ্চ ৫২ টাকা ও লেয়ারের ৫৭ টাকা নির্ধারণ করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এই দামকে অস্বাভাবিক বলছেন প্রান্তিক খামারি ও বিশেষজ্ঞরা। অথচ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বাচ্চার দাম বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। 

ইন্ডিয়ামার্ট ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, ২ অক্টোবর ভারতে এক দিন বয়সি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ২০ রুপি ও লেয়ার ৩৫ রুপি, যা যথাক্রমে বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক রুপি সমান ১ টাকা ৩৩ পয়সা) ২৬ টাকা ৫৩ পয়সা ও ৪৬ টাকা ৪৩ পয়সা। এতে দেখা যায়, বেঁধে দেওয়া দরে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে ব্রয়লারের বাচ্চার দাম ২৫ টাকা ৪৭ পয়সা ও লেয়ারের ১০ টাকা ৫৭ পয়সা বেশি। অপরদিকে লঙ্কাবাইসেল ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, শ্রীলঙ্কায় ১ থেকে ৫ দিন বয়সি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম ৬০ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (১ রুপি সমান দশমিক ৩৪ পয়সা) ২০ টাকা ৩৯ পয়সা এবং লেয়ারে ৯০ রুপি, যা ৩০ টাকা ৫৮ পয়সা। সে হিসাবে শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশে প্রতিটি বাচ্চায় ৩১ টাকা ৬১ পয়সা ও ২৬ টাকা ৪২ পয়সা বেশি গুনতে হয়। বেঁধে দেওয়া দামে বাচ্চা কেনার ফলে মুরগি ও ডিমের দাম দ্রুতই অস্বাভাবিক বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা এ খাতের সংশ্লিষ্টদের।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) তথ্যমতে, বাচ্চা ফোটানোর একটি প্যারেন্ট (বাবা-মা) ব্রয়লার মুরগির ডিমের উৎপাদন ১৬ টাকা ও লেয়ারে ১৫ টাকা ব্যয় হয়। বাচ্চা ফোটানো বাবদ ব্যয় ৩ টাকা যুক্ত করলে ১৯ ও ১৮ টাকা হয়। তাতে কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী, ৩০ শতাংশ মুনাফা যুক্ত করলে ব্রয়লারে ২০ টাকা ৮ পয়সা ও লেয়ারে ১৯ টাকা ৫ পয়সা দাঁড়ায়। অথচ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর হ্যাচারি পর্যায়ে বাচ্চার দাম নির্ধারণ করেছে ৪৫ ও ৫০ টাকা, যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৫২ ও ৫৭ টাকা। 

প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, ৫২ টাকায় এক দিন বয়সি একটি ব্রয়লার বাচ্চাকে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের মুরগিতে পরিণত করতে হলে এক মাস পালন করতে হয়। তাতে প্রতিটি মুরগিতে ব্যয় হবে ১৮১ টাকা। বর্তমানে ব্যয় হচ্ছে ১৬৭ টাকা। ৩০ শতাংশ লাভ করলে দাম পড়বে ২৩৫ টাকা ও খুচরা বাজারে ২৭০ টাকায় বিক্রি হতে হবে। বর্তমানে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজিতে। নতুন দামে ভোক্তাকে অতিরিক্ত ৮০ টাকা বেশি ব্যয় করতে হবে। 

সিন্ডিকেটের সঙ্গেই বৈঠক

গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার মুরগির বাচ্চার দাম নির্ধারণে যাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেই চলতি বছরের আগস্টে কারসাজি (সিন্ডিকেট) করে বাজারে দাম বৃদ্ধির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি)। ফলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ৬ প্রতিষ্ঠান ও ৪ সমিতিসহ ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তারা। প্রতিষ্ঠান ও সমিতিগুলো হলোÑ কাজী ফার্মস লিমিটেড, প্যারাগন পোল্ট্রি লিমিটেড, ডায়মন্ড এগ লিমিটেড, ইউনাইটেড এগ সেল পয়েন্ট, পিপলস পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড, নাবা ফার্ম লিমিটেড ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিআইএ), বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ, পোল্ট্রি প্রফেশনালস বাংলাদেশ (পিপিবি)। বিসিসির অনুসন্ধানী দলের অভিযোগ, মধ্য আগস্টে সিন্ডিকেট করে এসব প্রতিষ্ঠান ডিমের দাম বাড়িয়েছিল। ফলে এক হালি ডিমের দাম হয় ৬৫-৭০ টাকা। 

এর আগেও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ডিমের বাজারে অস্থিরতার কারণে সিপি বাংলাদেশ হ্যাচারি, প্যারাগন পোল্ট্রি, কাজী ফার্মস, ডায়মন্ড এগ ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আমানত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বিসিসি। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে।

এ ব্যাপারে বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, মুরগি, ডিম ও বাচ্চার সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থিতিশীলকারীদের নিয়েই বৈঠক করা হচ্ছে। তাহলে দাম কীভাবে কমবে? সিন্ডিকেটকে লালন-পালন করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরই। 

তিনি আরও বলেন, মুরগির বাচ্চা ও ডিমের দাম কমাতে হলে বাচ্চা ও খাদ্য আমদানির অনুমতি দিতে হবে। একই প্রতিষ্ঠানকে বাচ্চা, ডিম ও খাদ্য উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে।

বিপিএ ও বিপিআইএ’র তথ্যমতে, দেশে সপ্তাহে ব্রয়লার বাচ্চার চাহিদা ১ কোটি ৫০ লাখ, লেয়ার (বাদামি ও সাদা) ৯ লাখ থেকে ১০ লাখ, সোনালি ১৮ লাখ থেকে ২০ লাখ এবং কালার বার্ড ১৫ লাখ থেকে ১৮ লাখসহ ১ কোটি ৯৮ লাখ বা প্রায় ২ কোটি।

২৫ সেপ্টেম্বর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বৈঠকে করপোরেট কোম্পানিগুলো এক দিন বয়সি ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে একটি হিসাব দেখিয়েছে। সে হিসাবে ২০২২ সালে ব্রয়লার বাচ্চার ক্ষেত্রে ফিড, লেবার, ফার্ম সাপ্লাইজ এবং ওভারহেড বাবদ ব্যয় ৩২.৪১ টাকা, ওষুধ ও ভ্যাকসিন ২.০১, হ্যাচিং ওভারহেড ২.৪২, বিক্রয় ও বাজারজাতকরণে ২.৬৭, প্রশাসনিক ও ফিন্যান্সিয়াল ৩.২৯ এবং কস্ট অব সেল ৪২.৮ টাকা (তারা দেখিয়েছে ৪২.৭৯ টাকা)। চলতি বছরের জুনে এ গ্রেড বাচ্চার উৎপাদন ব্যয় ছিল ৪৩.৬৪ টাকা, বি গ্রেডের ৪৬.৭৪ এবং সি গ্রেডের ৪৪.৯১ টাকা। বি গ্রেড লেয়ার মুরগির ৫০.৫৯ টাকা ও সি গ্রেডের ৪৯.৭১ টাকা।

এ ব্যাপারে বিপিএ একটি তথ্য দিয়েছে, সেখানে ব্রয়লারের ক্ষেত্রে একটি হ্যাচিং ডিম ১৬ টাকা ও ২০ শতাংশ লোকসান ধরে উৎপাদন ব্যয় ২০ টাকা, টিকা ও ভ্যাকসিনে ১ টাকা, হ্যাচিং ও ওভারহেডে ২.৪২ টাকা, বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ ২.৬৭সহ কস্ট অব সেলস ২৬.০৯ টাকা। অথচ বর্তমানে খামারিদের কাছে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। 

লেয়ারের বাচ্চার একটি হ্যাচিং ডিম ১৪ টাকা ও ২০ শতাংশ লোকসান ধরে উৎপাদন ব্যয় ১৬.৮০ টাকা, টিকা ও ভ্যাকসিনে ৩, হ্যাচিং ও ওভারহেডে ২.৪২, বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ ব্যয় ২.৩৩ টাকাসহ কস্ট অব সেলস ২৪.৫৫ টাকা। বর্তমানে খামারিদের কাছে বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৭৪ টাকায়। সোনালি মুরগির বাচ্চার একটি হ্যাচিং ডিম ১২ টাকা ও ২০ শতাংশ লোকসান ধরে উৎপাদন ব্যয় ১৪.৪০ টাকা, টিকা ও ভ্যাকসিনে ১ টাকা, হ্যাচিং ও ওভারহেডে ২.৪২, বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ ব্যয় ২.৩৩ টাকাসহ কস্ট অব সেলস ২০.১৫ টাকা। বর্তমানে খামারিদের কাছে বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। 

ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির বাচ্চার অস্বাভাবিক দাম নির্ধারণের বিষয়ে ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম ৫২ ও লেয়ারের ৫৭ টাকা নির্ধারণ করার সময় জনগণের সুবিধা দেখা হয়নি। ফলে প্রান্তিক খামারিরা আরও নিঃস্ব হয়ে যাবে। দাম নির্ধারণে সব জায়গায় একটি শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে। সরকার বারবার সেই ফাঁদে পা দিচ্ছে। যারা বাচ্চা ও ফিড উৎপাদন করবে, তাদেরকে ডিম বা ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে রাখা যাবে না।

বিপিআইএ’র সেক্রেটারি জেনারেল খন্দকার মোহাম্মদ মহসিন বলেন, পোল্ট্রি খাতে জুয়া খেলার মতো অবস্থা। লেয়ার মুরগির বাচ্চার দাম ৭৭ টাকা উঠে গিয়েছিল। সে অবস্থা থেকে কিছু কমিয়ে ৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা মন্দের ভালো। কোনো কোনো সময় ১৩০ টাকা করেও বাচ্চা কিনতে হয়েছে। উৎপাদকরা বলছে, তারা একসময় উৎপাদিত বাচ্চা বিক্রি করতে না পেরে মেরে ফেলেছে। এজন্য এখন দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু বাচ্চার দাম কমানো দরকার।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রতিটি হ্যাচারিকে বাচ্চা উৎপাদনের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। সে হিসাবে জানুয়ারি মাসে প্রতি সপ্তাহে ১ কোটি ৪৫ লাখ করে মোট ৫ কোটি ৮০ লাখ পিস; ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে ১ কোটি ৫০ লাখ করে ১৮ কোটি; মে, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ১ কোটি ৪০ লাখ করে মোট ২২ কোটি ৪০ লাখ এবং জুন ও জুলাইয়ে ১ কোটি ৩০ লাখ করে মোট ১০ কোটি ৪০ লাখ; আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ১ কোটি ৩৫ লাখ করে মোট ১০ কোটি ৮০ লাখসহ সর্বমোট ৬৭ কোটি ৪০ লাখ পিস বাচ্চা উৎপাদন করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হ্যাচারি মালিক বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, দায়িত্বহীনতা ও লোভ-লালসার কারণে পোল্টি খাত ধ্বংস হচ্ছে। খাতটি নিয়ে কোনো নজরদারি ও জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ নেই। করপোরেট কোম্পানিগুলো যা বলছে, তা-ই পালন করা হচ্ছে।প্রান্তিক খামারি ও সাধারণ ভোক্তাদের স্বার্থে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। করপোরেট কোম্পানিগুলো তাদের বুঝিয়েছে বাচ্চার দাম ৫২ ও ৫৭ টাকা। সে অনুযায়ী অধিদপ্তর দাম নির্ধারণ করেছে। 

এদিকে ময়মনসিংহের হ্যাচারি মালিক ইসতিয়াক আহমেদ জানান, একটি লেয়ার ডিম উৎপাদনে প্যারেন্ট মুরগিতে ব্যয় হয় ১০-১২ টাকা এবং ব্রয়লারে ১৩ টাকা, হ্যাচিংয়ে ৩ টাকা ও অন্যান্য মিলে কোনোভাবেই ২০ টাকার বেশি হবে না। আর সেটি প্রান্তিক খামার পর্যন্ত যেতে সার্বিক ব্যয় ৩০ টাকার বেশি না। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সঙ্গে বাচ্চার উৎপাদন ব্যয় ও নতুন দাম নির্ধারণ করা সম্পর্কে জানতে ১ অক্টোবর ফোন করা হলে তিনি পরের দিন বেলা ৩টায় সাক্ষাৎ করতে বলেন। সেদিন তার কার্যালয়ে গেলেও তিনি সময় দেননি। পরবর্তীতে ৪ অক্টোবর বেলা ৩টায় কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। কয়েকদিন মোবাইলে ফোন করলেও রিসিভ করেননি। ৮ অক্টোবর তার কার্যালয়ে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বসে সাক্ষাৎ চাইলেও পাওয়া যায়নি। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা