প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ২০:০১ পিএম
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ২০:১১ পিএম
সংগৃহীত ফটো
শিক্ষা,
স্বাস্থ্যসহ অনেক ক্ষেত্রে নারীরা উন্নতি করেছেন। তবে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি এখনও আসেনি।
নারীদের নিজেদের জন্য এবং সমাজের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে হবে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা
ছাড়া নারীর চলার পথ সহজ হবে না।
আন্তর্জাতিক
স্বেচ্ছাব্রতী সংস্থা দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ‘নারী নেতৃত্ব বিকাশ কর্মসূচি’র আওতাধীন ‘বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের অষ্টম
জাতীয় সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে এই
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির (সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ) সম্মানিত ফেলো ড. রওনক
জাহান, হাঙ্গার প্রজেক্টের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর বদিউল আলম
মজুমদার, মানবাধিকার সংগঠক হামিদা হোসেন প্রমুখ।
রওনক জাহান বলেন, দেশের নারীরা অনেকটাই এগিয়েছেন, নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তবে এখনও বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা অনেক বেশি ঘটছে। তৃণমূলের নারীরা একে অপরের পাশে দাঁড়ালে নির্যাতন, বাল্যবিবাহ কমে আসবে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নারীমুক্তি মানেই নারীশক্তি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন সম্ভব। নেটওয়ার্ক তা করে দেখিয়েছে। এখানে একজন নারী অপরজনকে সহায়তা করে প্রজ্বলিত করেছেন। এভাবে এগোলে আত্মনির্ভরশীল, সমৃদ্ধ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
মানবাধিকার সংগঠক হামিদা হোসেন বলেন, তৃণমূলের নারীদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। নারীর বিরুদ্ধে ঘটা ঘটনার ক্ষেত্রে মানবাধিকার ও নারীবিষয়ক সংগঠনগুলো একসঙ্গে কীভাবে কাজ করতে পারে, সেটা দেখা দরকার।
নারী উদ্যোক্তা তাজিমা হোসেন মজুমদার বলেন, নারীদের স্বাবলম্বী হয়ে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে তারা এগোতে পারবেন না।
সম্মেলনে নারী নেতৃত্ব বিকাশ কর্মসূচির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের
কর্মসূচি পরিচালক নাছিমা আক্তার।
নারীনেত্রীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফল ড্র ও বিকশিত নারী নেটওইয়ার্কের নতুন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।