× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিমানসেবায় নতুন দুয়ার

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ১২:০৫ পিএম

আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ১২:২৮ পিএম

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খুলল নতুন দুয়ার – তৃতীয় টার্মিনাল। শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে বিমানবন্দরসংলগ্ন মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধীসমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ যন্ত্রপাতি স্থাপন, জনবল নিয়োগ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করা হবে উদ্বোধনের পর। আর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে টার্মিনাল ব্যবহারের সুযোগ পাবেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উদ্বোধন উপলক্ষে তৃতীয় টার্মিনালে মঞ্চ তৈরিসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বেবিচক। তৃতীয় টার্মিনাল ভবন নান্দনিক নকশায় সাজানো হয়েছে। এর অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা খুবই আকর্ষণীয়। এখন বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলছে। কাজ চলছে বহুতল কার পার্কিংয়ের। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য কাস্টমসের একটি হল ও ছয়টি চ্যানেল তৈরির কাজও চলছে।

বেবিচক জানিয়েছে, তৃতীয় টার্মিনালের দক্ষিণ প্রান্তে ৩ হাজার ৬৫০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে ভিভিআইপি ও ভিআইপি যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে বহুতল কার পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ১ হাজার ৩৫০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, উদ্বোধনের দিন একটি উড়োজাহাজ তৃতীয় টার্মিনালের পার্কিং অ্যাপ্রোনে রাখা হবে। এখন ইকুইপমেন্টগুলো বসানোর কাজ চলছে। তবে আংশিক উদ্বোধনের পর এয়ারলাইনগুলো নতুন পার্কিং অ্যাপ্রোন ও ট্যাক্সিওয়ে ব্যবহার করতে পারবে। আগামী বছরের শেষের দিকে যাত্রীরা টার্মিনালটি পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবেন।

বেবিচকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন শাহজালাল বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ ও টার্মিনাল-২-এর অ্যাপ্রোনে ২৯টি বিমান রাখা যায়। ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার আয়তনের তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে অ্যাপ্রোনে আরও ৮ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ রাখা যাবে। ফলে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করে রাখা যাবে। নতুন টার্মিনালে ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থা থাকবে। এর মধ্যে আগামী অক্টোবরে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু হবে। বহির্গমনের জন্য মোট চেক-ইন কাউন্টার থাকবে (১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টারসহ) ১১৫টি।

এ ছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ কাউন্টারসহ বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ৬৬টি। আসার ক্ষেত্রে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি কাউন্টার থাকবে। তৃতীয় টার্মিনালে আসা যাত্রীদের জন্য ১৬টি লাগেজ বেল্ট থাকবে। অতিরিক্ত ওজনের লাগেজের জন্য থাকবে চারটি আলাদা বেল্ট।

বেবিচক জানায়, থার্ড টার্মিনালের নিচতলায় থাকবে লাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম। দ্বিতীয় তলায় থাকবে বহির্গমন লাউঞ্জ, ক্যান্টিন ও বোর্ডিং ব্রিজ। থাকবে সুপরিসর ডিউটি ফ্রি শপ এবং বহির্গমন লাউঞ্জ। ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের তৃতীয় টার্মিনাল ভবনে বছরে যাত্রীধারণক্ষমতা হবে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ।

শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালে দিনে ৩০টির বেশি উড়োজাহাজ সংস্থার ১২০-১৩০টি বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। প্রতিদিন এসব উড়োজাহাজের প্রায় ২০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনাল ব্যবহার করেন। এ হিসাবে বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীর সেবা দেওয়ার সুযোগ আছে। আর তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে আরও ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

বেবিচক জানিয়েছে, নতুন টার্মিনাল ভবনের বহির্গমন পথে ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল বা ই-গেট থাকবে। যেখানে যাত্রীরা নিজেরাই ইমিগ্রেশন করাতে পারবেন। তাদের আর ইমিগ্রেশন পুলিশের মুখোমুখি হতে হবে না। তবে নিজেরা করতে না চাইলে তাকে সহযোগিতা করতে ৫৬টি বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টারও প্রস্তুত থাকবে। সেখানে ইমিগ্রেশন করবে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আর যেসব যাত্রী অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে ঢুকবেন তাদের জন্য পাঁচটি ই-গেট থাকবে। পাশাপাশি থাকবে ৫৪টি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন কাউন্টার।

২০১৭ সালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। তবে নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের। টার্মিনালটির নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা