ভিসা নীতির আওতায় কতোজন পড়েছে বলা সম্ভব নয় : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

ভিসা নীতির আওতায় কতোজন পড়েছে বলা সম্ভব নয় জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মে মাসে ঘোষিত ভিসা নীতি প্রথম আসে। মার্কিন প্রশাসনের এ ঘোষণা নতুন কিছু নয়। সরকার বা দলের বিরুদ্ধে নয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কথা বলা হয়েছে।  কালকেও প্রধানমন্ত্রীর সাথে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। 

মার্কিন ভিসা নীতি কার্যকরের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

শাহরিয়ার আলম বলেন, তাদের শর্ত অনুসারে বাংলাদেশ ভালো করছে। যে কয়েকজনের ওপর প্রয়োগ করা হচ্ছে, খুব যাচাই-বাছাই করে করা হচ্ছে।  অতীতে বিরোধী দলগুলো যেমন ধ্বংসাত্বক কর্মসূচি ছিল, তারাও সংশোধন করে কর্মসূচি দিচ্ছে। এ নীতি সকল দলের জন্য প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, কাজের কোনো সমস্যা হলে, মার্কিন প্রশাসনের সাথে কথা বলা হবে। আলাপ আলোচনায় অনেক কিছু উত্তরণ করা সম্ভব। সরকারি কাজে কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের সমস্যা হলে প্রয়োজনে কথা বলে ঠিক করা হবে।

পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুদিন আগে কিছুটা ধারণা দেওয়া হয়েছিল।  কতজন এর শিকার হবে, এটার উত্তর সরকারের জানা নেই।  সংখ্যাটি বড় নয়, বেশ ছোট।

তিনি বলেন, বিরোধী দল বলতে বিএনপি ও জামায়াতের কথা বলা হয়েছে।  অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো দেশ হস্তক্ষেপ করুক এটা বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে না। জনবিচ্ছিন্ন একটি দল এক দফা নিয়ে আছে। তারা তো নির্বাচন হতে দিতে চায় না। আওয়ামী লীগ আইন অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে।  নির্বাচনের আগে ও পরে সবার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে। 

শাহরিয়ার আলম বলেন, যাদের অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস জ্বালাও পোড়াও; তাদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জান মালের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেবে। এটা  কোনো ইস্যু নয়। বিএনপি সেদিক দিয়ে নিসন্দেহে চাপে আছে।  এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্ষবেক্ষক পাঠাবে না। 

তিনি বলেন, নিজেরাই তারা এ ঘোষণা দিয়েছে।  সরকার আগে থেকেই জানতো। সরকারকে চাপে ফেলার জন্য এটা নয়। সরকার এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। কোনো চাপ অনুভব করছে না।  এগুলো পরিষ্কার বার্তা দেয়,  শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবাধ,  সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে।  নির্বাচনের আগে আর কোনো নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা নেই। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তারা হস্তক্ষেপ করবে না এটা পরিষ্কার।