কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৪৪ পিএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:১৭ পিএম
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পর্যবেক্ষক দল না পাঠালে বাংলাদেশের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের সম্পর্ক নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ’আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এখন পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। যে মুহূর্তে জানানো হবে, আমরা আপনাদের জানিয়ে দেব। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক আসা না আসাতে বাংলাদেশের সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজনে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতায়ও কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না।‘
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ’অতীতের নির্বাচনগুলোও তাই বলে। এটি আমার আজকের প্রতিক্রিয়া। আমরা যখন অফিসিয়ালি জানব আরও বিস্তারিত জানাতে পারব।’
তিনি বলেন, ’আওয়ামী লীগ ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়। এ লক্ষ্যে বহুপাক্ষিকতার কোনো বিকল্প নেই। বিজনেস ভেঞ্চার ইন আইসিটি সেক্টরে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনগুলো প্রস্তুত।‘
বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ’ভিয়েতনামের সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় বাংলাদেশ। জলবায়ুর ক্ষতির মুখোমুখি দেশ হিসেবে দুই দেশের একসঙ্গে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে এগোতে হবে। গ্লোবাল সাউথ বাস্তবায়নে পারস্পরিক নিবিড় সম্পর্কের কোনো বিকল্প দেখছি না।’
এ ছাড়া উভয় দেশের আলোচনায় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে ভিয়েতনামের সহযোগিতা চেয়েছেন বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি অব ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভওয়াং দিনাহ্ হিউ বলেন, ’ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এখন নতুন বাস্তবতা। এটা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দুই দেশের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। এসডিজি বাস্তবায়নে সঠিক পথে রয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এটাও বাস্তবতা, এর সঠিক বাস্তবায়নে জাতিসংঘ ব্যবস্থার সহায়তা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
তিনি বলেন, ’ইন্দো-প্যাসিফিকে কনফ্লিক্টের হটস্পট তো আছেই। জলবায়ুর পরিবর্তন সরাসরি জীবন ও অর্থনীতির ক্ষতি করছে। যারা প্রকৃতপক্ষেই দায়ী, তাদের কোনা জবাবদিহি একেবারেই নেই। আমাদের নিজেদের স্বার্থে আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে প্রকৃতপক্ষেই কার্যকর করে গড়ে তুলতে হবে। ১৯৩ দেশের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে। সবার মধ্যে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার বেশি ভিয়েতনামের কাছে। করোনা মহামারি ভিয়েতনামের অর্থনীতিকে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে এটা ঠিক, কিন্তু আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’