প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৩৩ পিএম
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৪২ পিএম
এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা। প্রবা ফটো
ছাত্রলীগের তিন নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধরের ঘটনায় বরখাস্ত অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ ও এডিসি সানজিদা আফরিনের বক্তব্য শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রেকর্ড করছে ডিএমপি কমিশনার গঠিত তদন্ত কমিটি। মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতারও বক্তব্য রেকর্ড করেছেন তারা।
তদন্ত কমিটির সূত্রে জানা যায়, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক, নিরাপত্তাকর্মী ও শাহবাগ থানায় ঘটনার সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি শিগগিরই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের বক্তব্য নেবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির একজন সদস্য জানান, বক্তব্যগুলো যাচাই- বাচাই করে এই ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল, সেটা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, হাসপাতাল থেকে নেওয়ার পর শাহবাগ থানার ওসির কক্ষে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর করে পুলিশ। এডিসি হারুনের নেতৃত্বে শাহবাগ থানার পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাসহ অন্তত ১০ জন পুলিশ সদস্য ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবাবের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিন ডাক্তার দেখাতে গেলে সেখানে পুলিশের রমনা জোনের তৎকালীন এডিসি হারুন অর রশিদ উপস্থিত হন। সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। সেখানে হারুনকে লাঞ্ছিত করেন মামুন ও তার দুই সহযোগী। পরে মামুনের দুই সহযোগী ছাত্রলীগ নেতাকে রমনা থানায় ধরে নিয়ে মারধর করেন হারুন। এতে ছাত্রলীগের এক নেতার বেশ কয়েকটি দাঁত ভেঙে যায়। এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার ফারুক হোসেন। কমিটিকে কার কী দায় সেটা নির্ধারণ করে দুইদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দিতে না পারায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আরও পাঁচদিন সময় দেওয়া হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন।