প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:১৫ পিএম
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৪১ পিএম
নির্বাচনের আগের সময়টা সংখ্যালঘুদের জন্য ভালো নয় বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত।
তিনি বলেন, ’অতীতে আমরা যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শঙ্কা ও উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছিলাম, আজকে রাজনৈতিক দলগুলো একই সুরে কথা বলছে।’
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অমিতাভ বসাক বাপ্পী ও শ্যামল দেবনাথের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাস। প্রধান বক্তা ছিলেন যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি পঙ্কজ সাহা।
রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ’সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী দুর্গাপূজার সময় বা তারপরেও দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটতে পারে। এমনকি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে।’
রানা দাশ বলেন, ’বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে জানিয়েছি, শুধু শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক শান্তি শৃঙ্খলার কথা ভাবলে হবে না। আগামী নির্বাচনের পূর্বের সময় পর্যন্ত দেশে যেন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সকল রাজনৈতিক দলকে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ’আজকে এই সম্মেলন মঞ্চ থেকে আমি বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের কাছে একটি বিনীত আবেদন করতে চাই। আগামী দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো রাজনৈতিক দল যেন কোনো কর্মসূচি না দেয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জনজীবনে যেন কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয়।’
আগামী ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৪৮ ঘণ্টার গণ-অনশন ও অবস্থান কর্মসূচির কথাও জানান তিনি। বলেন, এই গণ-অনশনের লক্ষ্য হলো গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সরকারি দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যে অঙ্গীকার করেছিল সেগুলো যেন বাস্তবায়ন করে।’
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই নেতা বলেন, ’আমাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, ওবায়দুল কাদেরসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, আমাদের প্যাসেজ দেন, যাতে করে আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে যেতে পারি।’