প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৯ পিএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:১৮ পিএম
নির্বাচন ভবন। ছবি : সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশীয় ৬৬
পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর
মেয়াদ থাকবে ২০২৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন
কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আসাদুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংস্থার
তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে সামনে
রেখে প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ৬৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্যে ৬৬টি সংস্থাকে পরবর্তী
পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। অর্থাৎ তাদের মেয়াদকাল হচ্ছে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর
থেকে ২০২৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এর আগে ৮ আগস্ট নির্বাচন কমিশন
থেকে ৬৮ পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে পর্যবেক্ষক
সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন
কমিশনকে জানাতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ে সংস্থাগুলোর মধ্যে কোনো আপত্তি না পাওয়া গেলে
৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। নামের সামঞ্জস্য থাকায় দুটি পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম
নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইসি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে,
চলতি বছরে দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষ সংস্থাগুলোকে নিবন্ধনের জন্য আহ্বান করা হলে দেশের
২০৬টি বেসরকারি সংস্থা ইসিতে আবেদন করে। পরে ইসির সাত সদস্যের একটি কমিটি আবেদনগুলো
প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করে এবং শেষে ৬৮টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ১১ জুলাই
সর্বশেষ নিবন্ধিত ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে নিবন্ধন পাওয়া
সংস্থাগুলোর মধ্যে পুরোনো ৪০টির আবারও নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ১৩৮টি সংস্থাকে
পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। নিবন্ধিত সংস্থাগুলোর মধ্যে ৭৫টি সংস্থা থেকে
১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন পর্যবেক্ষক নবম সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। ২০১৮ সালে
অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিল ৮১টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা।
স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের
পদ্ধতি চালু করা হয় ২০০৮ সালে। একই সময় জাতীয় গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ বা আরপিওতেও
বিষয়টি সংযোজন করা হয়। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা
তৈরি করে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিনিধিদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার বিধান
আগে থেকেই ছিল।