× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

এক্সপ্রেসওয়েতে বাসসেবা চালুর প্রস্তাব আইপিডির

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৪৯ এএম

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেট কারই বেশি চলাচল করে। ছবি : আরিফুল আমিন

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেট কারই বেশি চলাচল করে। ছবি : আরিফুল আমিন

ঢাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশে যান চলাচলের ক্ষেত্রে বাসসেবা চালুর প্রস্তাব করেছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। উড়াল সড়কের পুরো অংশ চালুর আগ পর্যন্ত এখান দিয়ে বিশেষ বিবেচনায় দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলাচলের পক্ষেও অভিমত দিয়েছেন তারা। এ ছাড়া পুরো এক্সপ্রেসওয়ের কাজ দ্রুত সমাপ্ত, টোল আদায়ে ম্যানুয়ালের পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ এবং ওঠা-নামার র‌্যাম্পে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন তারা।

গতকাল বুধবার ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : পরিকল্পনাগত পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনায় ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব করা হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যম জুমে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উঠছে না। এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট সরাসরি বাস সার্ভিস চালু করা যায় কি না দেখতে হবে এবং এটার পুরো অংশের কাজ যখন সম্পন্ন হবে তখন এ সেবা যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। এক্সপ্রেসওয়েটিকে সিটি বাস চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে। এজন্য দরকার হলে ডিজাইন সংশোধন করতে হবে। তাহলে এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংযোগ ঘটবে।’ তিনি মনে করেন, এই এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর ৫ থেকে ৭ শতাংশ গাড়ির সুবিধার জন্য করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যানজট নিরসনে বিভিন্ন ধরনের ব্যয়বহুল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যার অধিকাংশই ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ডিজাইনও ঢাকার যানজট নিরসনের লক্ষ্যে করা হয়নি। নগর পরিবহন টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হচ্ছে না, কারণ গণপরিবহনের উন্নয়ন, বাস-সার্ভিস ও কমিউটার ট্রেন নেটওয়ার্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কাজ করা হয়নি। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক উদ্বোধন ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থার বৈষম্যমূলক চিত্রকে স্পষ্ট করে তুলেছে। এটি সামাজিক অসন্তোষের জন্ম দেওয়ার পাশাপাশি উন্নয়নের ন্যায্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।’

আইপিডির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর থেকে সন্ধ্যা ৫.৩০টায় বিমানবন্দর এলাকায় যে যানজট শুরু হয়, তা প্রগতি সরণি ও বনানী পর্যন্ত চলে যায়। এর মূল কারণ মিরপুর, বনানী, মাটিকাটা, প্রগতি সরণি ও ৩০০ ফুট এলাকা থেকে আসা চারটি প্রধান সড়কের গাড়ি বিমানবন্দরে এসে জমা হয়। এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যানবাহন দ্রুতগতিতে আসার পর এখানে মন্থর হয়ে পড়ে। একইভাবে ইন্দিরা রোডে যে র‌্যাম্পটি নামে সেটা মণিপুরীপাড়া, ফার্মগেট ও বিজয় সরণিতে চাপ সৃষ্টি করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘এই এক্সপ্রেসওয়ে এখন ফ্লাইওভারের কাজ করছে। তাই এটিতে সীমিত করে হলেও গণপরিবহন চালু করা উচিত। এখানে উত্তরা থেকে মিরপুর পর্যন্ত গণপরিবহনের একটা রুট চালু করা যেতে পারে। এতে জনগণ ও যারা বেসরকারি অংশীদারÑ উভয়ই লাভবান হবে।’ 

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. আফসানা হক বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শহরের যানজট কমাবেÑ এ ধরনের প্রত্যাশায় বস্তুনিষ্ঠতা নেই। এক্সপ্রেসওয়েটি যদি সার্কুলার রোডের এলাইমেন্টে ডিজাইন করা হতো তাহলে শহরের ওপর চাপ কমত।’ 

আইপিডির পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মেগা প্রকল্প, পিপিপি প্রকল্পের নির্মাণব্যয় কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। নতুবা এ ধরনের প্রকল্পের অর্থনৈতিক উপযোগিতা থাকবে না। বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে গণপরিবহনকে প্রাধান্য দিতে হবে।’

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ নুরুল হাসান বলেন, ‘প্রকৃত চাহিদা নয়, বরং অনেকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আগ্রহের ভিত্তিতে অনেক পরিবহন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছেÑ যা মানুষ ও শহরের জন্য বোঝা হয়ে উঠছে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফরহাদুর রেজা বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা এবং এ ধরনের প্রকল্পের সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা হলে তা জনকল্যাণে আসবে।’

ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়িনির্ভর পরিবহন পরিকল্পনার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অভীষ্ট টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর গড়া সম্ভব হবে না।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা