৩০০ কোটি টাকা পাচার
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:০২ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:১৮ পিএম
তৈরি পোশাক রপ্তানির আড়ালে এ খাতের ১০ প্রতিষ্ঠানের ৩০০ কোটি টাকা পাচারের ঘটনায় মামলা করার অনুমোদন চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে চিঠি দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদন পেলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের আসামি করে মামলা করা হবে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. বশির আহমেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে অনুসন্ধান প্রতিবেদনসহ মামলার অনুমোদন চেয়ে চিঠি দিয়েছি। অনুমোদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মামলা ও তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। মামলায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও ফৌজদারি দন্ডবিধির প্রযোজ্য ধারায় এসব মামলা করা হবে।’
চট্টগ্রামের কয়েকটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের যোগসাজশে তৈরি পোশাক রপ্তানির আড়ালে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে তৈরি পোশাক খাতের ১০টি প্রতিষ্ঠান। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে এ তথ্য মিলেছে। অর্থ পাচারের প্রমাণ মেলার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) স্থগিত করা হচ্ছে।
অর্থ পাচারে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড, পিক্সি নিট ওয়্যারস, হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, ফ্যাশন ট্রেড, এমডিএস ফ্যাশন, থ্রি স্ট্রার ট্রেডিং, ফরচুন ফ্যাশন, অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড, স্টাইলজ বিডি লিমিটেড ও ইডেন স্টাইল টেক্স। প্রতিষ্ঠানগুলো জালিয়াতির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, সৌদি আরব, সুদান, নাইজেরিয়া, টোঙ্গা, পানামা, ব্রুনাই, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি দেখিয়ে এসব অর্থ পাচার করেছে।
এই অর্থ পাচার ও জালিয়াতির সঙ্গে চট্টগ্রামের প্রায় ১০টি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টেরও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মোট ১ হাজার ২৩৪টি চালানে ৯ হাজার ১২১ মেট্রিক টন পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে। এর সম্ভাব্য দাম বৈদেশিক মুদ্রার হিসেবে ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার বা ৩০০ কোটি টাকারও বেশি। পণ্য রপ্তানির বিপরীতে বাংলাদেশে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা আসেনি।