জি-২০ সম্মেলন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১৫ পিএম
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১০ পিএম
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, ‘দিল্লিতে ১৮তম জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করছে ভারত। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও স্বাগত জানাতে আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’ অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এ সম্মেলনকে সমৃদ্ধ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘রোড টু জি-২০: ঢাকা টু নয়াদিল্লি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘জি-২০ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ও অংশীদারত্বেরই প্রতিফলন ঘটেছে। পাশাপাশি এটি আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় যে, জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বকে বলার মতো উন্নয়নের গল্প বাংলাদেশের আছে। বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ সম্মেলনকেও সমৃদ্ধ করবে।’
প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘ভারতের জি-২০ সম্মেলনের থিমের অর্থ হলো ‘সারা বিশ্ব একটি পরিবার’। এর মধ্য দিয়ে সর্বজনীনতাবাদে আমাদের প্রাচীন দর্শনেরই প্রতিফলন ঘটেছে। সম্মেলনে আমাদের মূলমন্ত্র, ‘একটি বিশ্ব, একটি পরিবার ও একটি ভবিষ্যৎ’, এ বিষয়টিকেই আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি। এতে মানবতার পারস্পরিক সংযুক্ততার গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। এই সংযুক্ততার ফলে আমরা যে প্রতিকূলতার মুখোমুখি, তার সমাধান ও আমাদের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে। এ ছাড়া আমাদের মতৈক্যের ভাবনাও সঞ্চারিত হয় এ থিমের মধ্য দিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন এক সময়ে ভারত জি-২০ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে, যখন করোনা মহামারি থেকে বিশ্ব পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া সাপ্লাই চেইন সমস্যা, জলবায়ুর বৈরী প্রভাব, মূল্যস্ফীতি, আসন্ন ঋণসংকট, খাদ্য ও জ্বালানির নিরাপত্তা, ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি বিশ্ব। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি কমে যায় ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও অনিশ্চয়তা তৈরি করে। কিন্তু এসবের মধ্যেও জি-২০ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ এজেন্ডা নির্ধারণে ও কঠিন সময়ে সামগ্রিক কল্যাণের চেষ্টায় নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতারই স্বীকৃতি। এটি আমাদের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থারও প্রতিফলন।’
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে চায়। ভারতও ২০৪৭ সাল নাগাদ উন্নত দেশে উত্তীর্ণ হতে চায়। কাজেই প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের সহযোগিতা নতুন দিগন্তে সম্প্রসারিত হবে। এ সহযোগিতা কেবল দ্বিপক্ষীয়ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ না, বৈশ্বিক আলোচনা যে অন্তর্ভুক্তিতা, সহনশীলতা ও স্থায়িত্বের দিকে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে এটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’