× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সর্বজনীন পেনশন : প্রথম কিস্তি দিলেন ৮ হাজার মানুষ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৩ ২২:০১ পিএম

আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০২ পিএম

সংগৃহীত ফটো

সংগৃহীত ফটো

উদ্বোধনের প্রথম সাতদিনে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ভালোই সাড়া মিলেছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৪১ জন পেনশনের প্রথম কিস্তি জমা দিয়েছেন, যার পরিমাণ প্রায় তিন কোটি ৯০ লাখ টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, পেনশন গ্রহণে মানুষের বেশ সাড়া মিলছে। বুধবার পর্যন্ত ৮ হাজার ৪১ জন চাঁদা জমা দিয়েছেন। জমা হওয়া চাঁদার পরিমাণ ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
কতজন আবেদন করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা টাকা জমা দিয়েছেন তাদেরকেই গণনা করা হচ্ছে। যারা টাকা জমা না দিয়ে শুধু আবেদন করছে তাদেরকে গননা করে লাভ নেই।

তবে পেনশন কর্তৃপক্ষ মনে করে কতজন আবেদন করেছেন সেটা বড় কথা নয়। বরং কত জন পেনশন সুবিধা বা স্কিম গ্রহণ করেছে সেটাই বড় কথা, কারণ তাদের টাকাই সরকারি হিসাবে জমা হচ্ছে।
গত ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশনের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। প্রতিটি মানুষ চাইলে পেনশনে আওতায় আসতে পারবেন। এতদিন যা শুধু সরকারি ও স্বায়ত্বশাসতি প্রতিষ্ঠান এবং হাতেগোনা কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ভোগ করতেন। পেনশন আওতায় আসতে করতে হবে নিবন্ধন ও আবেদন। এর জন্য কিছু নিয়ম-কানুন ও নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এজন্য অনলাইন সিস্টেম ২৪ ঘণ্টাই খোলা রয়েছে। তবে, কেউ অনলাইনে পেনশন স্কিমের জন্য নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হলে সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায়ও তা করা যাবে।
প্রাথমিকভাবে চার ধরনের নাগরিকের জন্য প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী– এ চার প্রকারের প্যাকেজ রাখা হয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সোমবার পর্যন্ত ছয় হাজারের বেশি গ্রাহক প্রথম কিস্তি পরিশোধ করেছেন। এতে পেনশন কর্তৃপক্ষের হিসাবে মোট চাঁদা জমা হয়েছে ৩ কোটি টাকার বেশি। তবে অর্থ পরিশোধ করেননি, কিন্তু নিবন্ধন করেছেন এমন সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। পেনশনের নিবন্ধন থেকে শুরু করে চাঁদা পরিশোধ– সবই ২৪ ঘণ্টা অনলাইনে করা যাচ্ছে। মানুষ তাদের সুবিধাজনক সময়ে নিবন্ধন করছেন। এতে আবেদনকারীর সংখ্যাও প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে।
পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকদের পেনশন সুবিধা দিতে সরকারের বাড়তি কোনো টাকার প্রয়োজন হবে না। গ্রাহকদের চাঁদার ওপর বার্ষিক ৭ থেকে ৮ শতাংশ হারে মুনাফা ধরেই পেনশনের অর্থের জোগান দেওয়া সম্ভব। পেনশন তহবিলে সুবিধাভোগীদের যে অর্থ জমা হবে, সেখান থেকে কোনো অর্থ সরানো হবে না। এমনকি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের যাবতীয় পরিচালন ব্যয় বাবদ সরকারের আলাদা বরাদ্দ থাকবে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ তহবিলের অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে লাভজনক ও নিরাপদ বিনিয়োগ করবে।
খসড়া বিধিমালা অনুযায়ী নিরাপদ ও দীর্ঘ মেয়াদে মুনাফা পাওয়া যায়– এমন খাতে তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হবে। এ খাতে এখন ৮ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পাওয়া যাচ্ছে। তহবিল আরও বড় হলে একটি অংশ সরকারের লাভজনক অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। এ ছাড়া একটি অংশ ক্রেডিট রেটিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত প্রথম সারির ১০ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে দীর্ঘমেয়াদি এফডিআর আকারে রাখা হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা