প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ২১:৪৬ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৫০ পিএম
সংগৃহীত ফটো
উদ্বোধনের
প্রথম চার দিনে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ভালোই সাড়া মিলছে। রবিবার (২০ আগস্ট) রাত ৮টা
পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে মোট ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন। এরই মধ্যে
সাড়ে পাঁচ হাজার ব্যক্তি পেনশনের প্রথম কিস্তি জমাও দিয়েছেন। যার পরিমাণ পৌনে
তিন কোটি টাকা।
অর্থ
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ’পেনশন গ্রহণে মানুষের বেশ সাড়া মিলছে। রবিবার বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ৫ হাজার ৪৭৫
জন চাঁদা জমা দিয়েছেন। জমা হওয়া চাঁদার পরিমাণ ২ কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা।’
জানা
গেছে, চতুর্থ দিন বিকাল পর্যন্ত নিবন্ধন ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। যা তৃতীয় দিন শেষে ছিল
৪০ হাজার। সে হিসাবে চতুর্থ দিনে ১০ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে।
তবে
পেনশন কর্তৃপক্ষ মনে করে, কতজন আবেদন করেছেন সেটা বড় কথা নয়, বরং কতজন পেনশন সুবিধা
বা স্কিম গ্রহণ করেছেন সেটাই বড় কথা। কারণ তাদের টাকাই সরকারি হিসাবে জমা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশনের যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।
প্রতিটি মানুষ চাইলে পেনশনের আওতায় আসতে পারবেন। এত দিন শুধু সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত
প্রতিষ্ঠান এবং হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা পেনশনসেবা ভোগ করতেন।
পেনশনসেবার আওতায় আসতে করতে হবে নিবন্ধন ও আবেদন। এর জন্য কিছু নিয়ম-কানুন ও নির্দিষ্ট ধাপ
অনুসরণ করতে হবে। এজন্য অনলাইন সিস্টেম ২৪ ঘণ্টাই খোলা রয়েছে। তবে কেউ অনলাইনে পেনশন
স্কিমের জন্য নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হলে সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায়ও তা করতে পারবেন।
সর্বজনীন
পেনশন কর্মসূচি বা স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা
পাবেন একজন চাঁদাদাতা। তবে তিনি মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী এ পেনশন পাবেন।
এক্ষেত্রে চাঁদাদাতার ৭৫ বছর বয়স হতে যত দিন বাকি থাকবে, সে সময় পর্যন্ত নমিনি পেনশন
উত্তোলন করতে পারবেন।
সর্বজনীন
পেনশনের আওতায় আপাতত চার ধরনের স্কিম চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রবাসীদের জন্য প্রবাস,
বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের
জন্য সুরক্ষা আর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য থাকছে সমতা স্কিম।