কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩ ১৭:০২ পিএম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৩ ১৯:২৯ পিএম
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির শোক দিবসের আলোচনা সভায় ভারতীয় হাইকমিশনার। প্রবা ফটো
সহিংসতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-ভারত কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত পাশে থাকতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অগ্রগতিতেও ঢাকার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী দিল্লী। সহিংসতা এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশ একইসঙ্গে কাজ করবে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত সবসময় পাশে থাকতে চায়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেও বাংলাদেশ-ভারত
কাজ করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং
যোগাযোগ প্রাধান্য দিচ্ছে দিল্লি। এসব ক্ষেত্রে ভারত সর্ম্পক আরও এগিয়ে
নিতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, সংসদ সদস্য অ্যারমা দত্ত ও বাসন্তী চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতি সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা মনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম। আয়োজন সঞ্চালনা করেন সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হক।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সামনে নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে সরকারের সুস্পষ্ট বক্তব্য, নির্বাচন বিষয়ে সংবিধানের বাইরে কিছু হবে না। ৩০ লাখ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এই সংবিধান। এই সংবিধান অনুসারে শুধু নির্বাচন নয়, ভবিষ্যতেও মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করা হবে। সাম্প্রদায়িকতাকে যারা উস্কে দিচ্ছে, এটা নতুন কিছু নয়। জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। এখন সময় এসেছে সেটা বন্ধ করার।
আলোচনায় বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের হস্তান্তর করার জন্য বিদেশি দেশগুলোর প্রতি আহ্বানও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত কিছু খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে রয়েছে। তাদের কোনো দেশ রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারে না। যদি দেয়, তাহলে সেই হত্যাকাণ্ডের স্বপক্ষে আপনাদের অবস্থান পরিষ্কার করে। প্রমাণ করে যে, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক। তাদের আশ্রয় দিয়ে আপনারা যদি এদেশে মানবাধিকারের কথা বলেন, তাহলে সেটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত হয় সেটা বিশ্ববাসী বোঝে।’