প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৯:০৭ পিএম
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৯:১৭ পিএম
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘যদি আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, বহু দলে বিশ্বাস করি, তাহলে সহনশীল হতেই হবে। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করব আর সহনশীল হব না, এটা গণতন্ত্রের চর্চা বলা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘একাত্তর ও বঙ্গবন্ধুর চেতনা এবং সংবিধান মেনে দেশে রাজনীতি করলে একে অপরের দূরত্ব কমে আসবে।’
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ’বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, তাদের বলতে চাই, তার নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে ঘাটতি কতটা ছিল? যদি ঘাটতি না থেকে থাকে তাহলে দেশের সংবিধান মেনে নিয়ে, একাত্তরকে স্বীকার করে নিয়ে তারপর বাংলাদেশে রাজনীতি করি। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করব আর সহনশীল হব না, এটা গণতন্ত্রের চর্চা বলা যাবে না।’
তিনি বলেন, ’বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে এই জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য। ঠিক সেই হিসাব-নিকাশ করেই ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ড করা হয়, যাতে জাতি দিন দিন ধ্বংসের দিকে যায়। সেই ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তারপর আমাদের এগোতে হবে। অন্যথায় বারবার আমরা এই বিপদের সম্মুখীন হতেই থাকব।’
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ’বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে একটি ছিল সততা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার বাড়ি তল্লাশি করে মাত্র ২৫ হাজার টাকা পেয়েছে। কত সাধারণ জীবনযাপন করতেন তিনি।’
এর আগে সুপ্রিম কোর্টে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর স্মারক সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রধান বিচারপতি বলেন, ’বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন হওয়া উচিত।’
আলোচনা সভায় আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান, বিচারপতি জেবিএম হাসান, বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল, বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী, বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার, বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ বক্তব্য দেন। এ সময় হাইকোর্ট বিভাগের অন্যান্য বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।