প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৪:১৭ পিএম
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৩৭ পিএম
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। প্রবা ফটো
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশিদের কাছে দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, নিজের দেশকে খাটো করতে বিদেশিদের কাছে মিথ্যাচার করা হয়। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
কামাল উদ্দিন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে দোষারোপ করবে- এটা স্বাভাবিক। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশিদের কাছে অনেকেই মিথ্যাচার করে দেশকে খাটো করছেন। দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে মিথ্যাচার করা সমীচীন নয়। এটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থি।’
তিনি বলেন, ‘চে গুয়েভারা কিউবার শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। তার কাছে মন্ত্রিত্ব কোনো ব্যাপার ছিল না। তিনি ছিলেন বিপ্লবী। গেটসবার্গ এড্রেসের সময় আব্রাহাম লিঙ্কন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে জনমানুষের অধিকার নিয়ে বলেন। বঙ্গবন্ধুও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছিলেন। তার সময়ই ১৩৯টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে। তার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের কারণেই বহির্বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে চেনে।’
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে আটক রাখা হয়। যারা স্বার্থের বশবর্তী হয়ে কাজ করে উশৃঙ্খল জীবনযাপন করে, তারা চরিত্র বদলায়, এরাই বারবার ঘুরেফিরে আসছে। তাদের ভেতর মানুষের জন্য ভালোবাসা নেই।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে কিছু লোক দিয়ে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়াস নেন বঙ্গবন্ধু। প্রতি সেক্টরে উন্নয়নের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেন। দেড় বছর পর পাঁচশালা পরিকল্পনা করেন। ৫ বছর পর বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করেন। ১৯৭২ সালে নতুন পেস্কেল গঠন করেন।’
কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এদেশ স্বাধীন না করলে আমরা কেউ সচিব, জজসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে পারতাম না। তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার কোনো শেষ নেই। একটি উচ্চবংশীয় পরিবারে বঙ্গবন্ধুর জন্ম। কীভাবে তিনি নেতা হলেন? তার এই জার্নিটা আমাদের জানা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গিয়ে দেখলাম, অনেকেই বঙ্গবন্ধুর নামে স্লোগান দিয়ে লাইন না মেনে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন। এরাই বারবার নিজেদের চরিত্র বদলায়। দেশের কোনো খারাপ সময়ে এদের পাওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধু বলতেন, যেদিকে তাকাই সেদিকে দেখি ঘুষখোর, চাটার দল। তাই সর্বদা তিনি সরকারি কর্মচারীদের সততার সঙ্গে জনগণের সেবা করার আহ্বান জানাতেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য আমিনুল ইসলাম, কাওসার আহমেদ ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। পরে কমিশন কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। সভার শুরুতে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।