× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইমাম মাহমুদের কাফেলা নামে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল : সিটিটিসি প্রধান

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১৪ পিএম

আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১৯ পিএম

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষে নারী-শিশুসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। ছবি : ফোকাস বাংলা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষে নারী-শিশুসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। ছবি : ফোকাস বাংলা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অভিযান চালিয়ে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের ইমাম মাহমুদের কাফেলা নামে উদ্বুদ্ধ করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হিজরতের জন্য তাদের বলা হয়, পৃথিবীতে ইমাম মেহেদি আসার আগে যিনি আসবেন তিনি ইমাম মাহমুদ। এই বলে প্রশিক্ষণের জন্য তাদের সেই পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শনিবার নারী, শিশুসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে চারজন পুরুষ, ছয়জন নারী। তাদের সঙ্গে থাকা তিন শিশুকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।  সিটিটিসি বলছে, অভিযানের সময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য ও জিহাদি বই উদ্ধার হয়েছে।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আপনারা জানেন, দেশের নানা অঞ্চল থেকে বিভিন্ন বয়সি মানুষ হিজরত করছিল। কোন কোন জায়গায় থানা পুলিশকে অভিভাবকরা রিপোর্ট করেছে আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে থানা পুলিশকে অভিযোগ করা হয়নি বা অভিভাবকরা থানায় যায়নি। এমন কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা সুনির্দিষ্টভাবে কাজ শুরু করি। প্রাথমিকভাবে আমরা  সিরাজগঞ্জের চিকিৎসক দম্পতি, যশোরের অধিবাসী ঢাকার নটরডেম কলেজের ছাত্র ফাহিম ও জামালপুরের এরশাদুজ্জামান শাহীনের তথ্য পাই।

‘এ ছাড়াও আমাদের কাছে তথ্য ছিল যশোর, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও কুষ্টিয়া এলাকার কিছু পরিবার জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে হিজরত করেছে বা তারা হিজরত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত ৭ আগস্ট আমরা মিরপুর থেকে ১০  জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করি। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। এ ছাড়া শিশুও ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা জানতে পারি, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর থেকে একযোগে সাতটি পরিবার হিজরতের উদ্দেশে ঢাকায় এসেছিল এবং তারা রিসিভারের জন্য অপেক্ষা করছিল যে তাদের রিসিভ করে জঙ্গি আস্তানায় নিয়ে যাবে। তবে সেই ব্যক্তিকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পারিনি। যারা এসেছিল তাদের গ্রেপ্তারের পর আমরা বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাই। গত পরশুদিন একইভাবে ফরহাদ নামে আমরা আরও একজনকে গ্রেপ্তার করি। এই ফরহাদ জঙ্গি আস্তানায় ছিল এবং সেখান থেকে ফিরে এসে তার পুরো পরিবারকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিল। ফরহাদ তার বাবা-মা স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে তাদের সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করে হিজরতের জন্য বের হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন,  ‘তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আমরা জানতে পারি, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কোনো একটি পাহাড়ে তাদের আস্তানা আছে। পরশুদিন আমরা ঢাকা থেকে সোয়াত টিমসহ রওনা হই এবং একটি সফল অভিযান পরিচালনা করি। কয়েকদিন আগে সিরাজগঞ্জ থেকে যে ডাক্তার দম্পতি হিজরত করেছিল এই ডাক্তারকে আমরা পাইনি। তবে তার স্ত্রীকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়া আরও তিনজন ছিল।’

ইমাম মাহমুদের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে হিজরত :

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘নটরডেমের সেই ছাত্রসহ সিরাজগঞ্জের ডাক্তার ইমাম মাহমুদ নামে এক ব্যক্তির কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদের জন্য হিজরত করেছে। তবে আমরা তাদের পাইনি। তাদের বোঝানো হয়েছিল যে জিহাদের প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে হিজরত করা। জিহাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা। তবে মিরপুর থেকে হিজরতে যাওয়ার আগে তাদের একটি প্রস্তুতি আমরা নস্যাৎ করে দেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযান শেষ করার পর আমাদের ডিসপোজাল টিম সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছে। নগদ ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা এবং কিছু স্বর্ণালঙ্কার, ধারালো ছুরি এবং তাদের প্রশিক্ষণ জন্য বক্সিং বক্স, বিপুল পরিমাণ উগ্র নথিপত্র উদ্ধার করেছি।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা