প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৬ পিএম
আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৫২ পিএম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার চাহিদা পূরণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার সেই স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সফলভাবে পূরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগস্টকে আগস্টের মতো দেখলে আমরা জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে পারতাম না। এখন আমাদের করণীয় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধাব অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম,মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম মৃধা।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, লোক এখন আর পান্তা খায় না। ফার্মের মুরগির গোশতও খেতে চায় না। কারণ মানুষ ভালোটা খেতে চায়। খোঁজ নিয়ে দেখেন, পৃথিবীর কতগুলো দেশে বছরের শুরুতে নতুন বই দেওয়া হয়, একটা তালিকা করুন। বেশি পাবেন না। বাংলাদেশ সেটা করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বিভিন্ন রোগের ২২ রকমের ওষুধ বিতরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। ঘরের দলিল আবার স্বামী, স্ত্রী দুজনের নামে করা হয়েছে, যেন ঘর পেয়ে নতুন ঘরের বাসনা না হয়।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় যুদ্ধের পর একজোড়া জুতা পেয়ে হাসছে ছোট একটি শিশু- এমন একটি ছবি দেখেছিলাম। আজ আমাদের সেই হাসি জুতা পাওয়ার মতো। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
কামরুল ইসলাম বলেন, অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচায় তার প্রিয় রেণু সম্পর্কে অনেক কথা বলেছেন। কেউ নিজের গচ্ছিত অর্থ এতো সহজে ছাড়েন না। বেগম মুজিবই বঙ্গবন্ধুর লেখার অভ্যাস করিয়েছিলেন। একসাথে জীবন-যাপন করেছেন, একসাথে মৃত্যুবরণ করেছেন। বিশ্বের অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু এমন নিষ্ঠুরভাবে হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে আর নেই।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে যোগ দিয়েছিলেন। এখন তার ছেলে তারেক জিয়া আইন অমান্য করছেন। খালেদা জিয়ার সাথে মিটিং করে সেটা প্রচার করা হয়। কিন্তু সেগুলো প্রচার করা নিষেধাজ্ঞা আছে। একটা পলাতক আসামির বক্তব্য, বিবৃতি প্রচার হতে পারে না। এ দলকে কেন ভোট দিবে জণগণ? তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে কোনো পাগলও চিন্তা করে না।