× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জন্মশতবর্ষ

চিত্রাপাড়ের এক মুগ্ধ মানব

মইনুদ্দীন খালেদ

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৩ ০৯:১১ এএম

চিত্রাপাড়ের এক মুগ্ধ মানব

শিল্পী এস এম সুলতানের ছবির বিশ্লেষণে যেতে হলে প্রথমে আমাদের জানা দরকার তিনি, কোন জীবনাদর্শ লালন করেছেন। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার ছবির দিকে তাকালে আমরা যেসব ইমেজ দেখি, বিশেষত মানুষের ইমেজ; সেই মানুষের ইমেজ প্রমাণায়তন মানুষের চেয়ে অনেক বেশি বড়। এবং তার ছবির মানুষেরা সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যুদ্ধংদেহি। যদিও তারা ফসল ফলাচ্ছে, ফসলের ক্ষেতের দিকে যাচ্ছে মিছিল করে। 

যুদ্ধংদেহি মনোভঙ্গির কৃষক সুলতান কেন আঁকলেন, সেটা বিশ্লেষণ করা দরকার বলে মনে করি। এবং তার আগে প্রয়োজন তার মনোদর্শন বিশ্লেষণের।

সুলতান জন্মেছিলেন নড়াইলে। এবং চিত্রা নদীর পাড়ে তিনি কৃষিসভ্যতা দেখেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি কলকাতা গিয়ে আর্ট স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। দু’বছর পড়েছেন এবং তৃতীয় বছরে তিনি লেখাপড়া ছেড়ে চলে যান। কলকাতায় থাকার সময় সুলতান যে পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন, সেই পরিবার ছিল সোহরাওয়ার্দী পরিবার। শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভাই শাহেদ সোহরাওয়ার্দী, তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। তার স্ত্রী তাকে খুবই ভালোবাসতেন।

সুলতানের নাম ছিল মূলত লাল মিয়া। শাহেদ সোহরাওয়ার্দী তাকে এস এম সুলতান অর্থাৎ, সৈয়দ মোহাম্মাদ সুলতান নামে অভিহিত করেন। এবং তাকে আর্ট কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। শাহেদ সোহরাওয়ার্দী তখন কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। সেই সুবাদে সুলতান মেট্রিকুলেশন পাস না করা সত্ত্বেও ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভালো ফলের কারণে তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি, সুলতান কলকাতা আর্ট কলেজে বেশ ভালো ফলাফল অর্জন করা সত্ত্বেও লেখাপড়া শেষ করার আগেই বেরিয়ে গেলেন। কেন বেরিয়ে গেলেন, এটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

সেই সময় এনায়েত উল্লাহ খান আল মাশরেকি নামে এক ভদ্রলোক একটি আন্দোলন শুরু করেছিলেন, ‘খাকসার আন্দোলন’। খাকসার মানে হচ্ছে জনগণের শ্রমিক। খাকসার আন্দোলনের কর্মীরা সাধারণত মৃত মানুষ দাফন করত এবং শহর-গ্রাম পরিষ্কার রাখত। সুলতান তখন ছবি আঁকা বাদ দিয়ে মানুষের সেবায় যোগ দিলেন। তার এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় আমরা ভ্যানগগের জীবনের সঙ্গে তার অনেকটা মিল পাই। আমরা জানি যে, সুলতান তার জীবনের শেষ পর্বে এসে যেসব ছবি এঁকেছেন তার মধ্যে ভ্যানগগের ব্যাপক প্রভাব ছিল। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ভ্যানগগ তার প্রিয় শিল্পী। স্বভাবতই, এর আগে তিনি যে বাস্তবতার ছবি এঁকেছেন সেসবে ফরাসি শিল্পীদের ‘বাস্তববাদ’ও তাকে আকর্ষণ করেছিল।

সুলতান ছবি আঁকায় খ্যাতি পাওয়া সত্ত্বেও খাকসার আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। এবং পরবর্তী সময়ে আমরা দেখি, তিনি কাশ্মীরে থিতু হন। সেখানেও তিনি এক ধরনের প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। দেশভাগের আতঙ্কে সৈনিকদের ট্রাকে চড়ে তিনি করাচিতে চলে যান। করাচি গিয়ে তিনি সেখানকার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হন। সেখানে আমাদের দেশের অনেকেও ছিলেন, তাদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ঘটে। করাচিতে তিনি নানা ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি ছবি আঁকতেন এবং নাটকেও অভিনয় করেছিলেন।

পঞ্চাশের দশকের শুরুতে তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ততদিনে আমাদের এখানে আর্ট স্কুল তথা আজকের চারুকলা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুলতানের মধ্যে এক ধরনের বাউলপনা ছিল। তিনি বাঁশি বাজাতেন, তিনি কুকুর-বেড়াল-সাপ এদের সঙ্গে মিলেমিশে একটা অদ্ভুত জীবন যাপন করতেন। তিনি যে পোশাক পরতেন, সেই পোশাকের মধ্যে ছিল কালো জোব্বা, এমনকি কখনও তিনি শাড়ি পরতেন। এমনও দেখা  গেছে, তার প্রাথমিক জীবনে তিনি আচকান পরছেন, স্যুট পরছেন।

সুলতানের প্রিয় কবি ছিলেনÑ কাজী নজরুল ইসলাম, মধুসূদন দত্ত, ইকবাল। এ ছাড়াও বাউলদের জীবন নিয়েও তিনি দারুণ আগ্রহী ছিলেন। এ সবকিছু মিলিয়ে সুলতানের অদ্ভুত এক মনোজগৎ তৈরি হয়েছে। যে ধর্ম তিনি লালন করেছিলেন সেটা কোনো শাস্ত্রীয় ধর্ম নয়। তার মধ্যে আছে বৈষ্ণব প্রভাব, বাউল প্রভাব, সাধক কবিদের প্রভাব। এসবের মেলবন্ধনে তিনি এক ধরনের এক দ্রোহী বাউলের ভূমিকা নিয়েছিলেন। আর এই দ্রোহী বাউলের তুলি থেকেই জন্ম নিয়েছে দ্রোহী কৃষক। আমাদের মনে রাখতে হবে, বাউল মানেই নিরীহভাবে মানবতার গান গাওয়া নয়। বাউল মানে প্রতিবাদ। যেখানে মানবতার অবমাননা হচ্ছে সেখানেই প্রতিবাদী হয়ে ওঠা। সেই প্রতিবাদের সূত্র ধরেই সুলতানের মধ্যে যে বিষয়টা কাজ করেছে সেটা হলো, তিনি মধ্যবিত্ত সুলভ কোনো ভাবনা নিয়ে ছবি আঁকেননি। অর্থাৎ মধ্যবিত্তরা যেভাবে ভাবেÑ কৃষকরা হচ্ছে দরিদ্র, হাড্ডিসার, খেতে পায় না। সুলতান এসব কথা শুনতেই পারতেন না। সুলতান মনে করতেন, যে কৃষকেরা কালো মাটি চষে সোনার ফসল ফলায়, যে জেলেরা জল থেকে রুপালি মাছ ধরে; তারা হচ্ছে শক্তিশালী মানুষ, তারা হচ্ছে সভ্যতার চালিকাশক্তি। অর্থাৎ জলে জেলে, স্থলে কৃষক এবং কামার, কুমোর, তাঁতি সব মিলিয়ে বাংলার যে জগৎ, সেই জগৎটায় দৃষ্টি রেখে তিনি যা আঁকলেন সেই মাত্রাটা যদি ধরি, সেটা সরল, স্বাভাবিক বাস্তববাদের অনুগামী নয়। এই বাস্তববাদের অনুগামী না হওয়াতে তার ছবির বিশ্লেষণে গিয়ে আমাদের এক ধরনের দ্বিধার মধ্যে পড়তে হয়। আমরা বুঝতে পারি না, আসলে তিনি কী বলতে চান। তার বলতে চাওয়ার বিষয়টা হচ্ছে, কৃষকরা অপরাজিত এবং তাদের পরাজয় মানে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাওয়া। 

সুলতানের ছবিতে নাগরিক কিংবা গ্রামীণ মধ্যবিত্তের কোনো মূল্যবোধ সক্রিয় নেই। লেংটির মতো কাপড় পরে পুরুষেরা কাজ করে, মেয়েরাও ব্লাউজ ছাড়া শাড়ি পরে কাজ করছে। তার ছবির যে নারী-পুরুষ, তাদের সঙ্গে আদিম মানুষের সম্পর্ক আছে। কেন এই সম্পর্ক? এর বড় কারণ হচ্ছে, তিনি চেয়েছিলেন বহুভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়া বাংলার জমি, এটা আসলে বাংলার ধর্ম হতে পারে না। কৃষকরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে, সবাই মিলে কৃষিকাজ করবে, ফসল ফলাবে এবং সবার অধিকার থাকবে সেই ফসলে। তিনি একক কোনো কৃষক ভাবতে পারেননি। এই সামষ্টিক চিন্তা বা কৌমচেতনাই কিন্তু একটা সময় ছিল আদিম সমাজে। সেই ভাবনাটা ছিল বলেই তার ছবিতে আদিমতার একটা বিপুল আবহ দেখতে পাই। আদিমতার আবহের কারণেই তার ছবির মানুষেরা নগ্নপ্রায়, তার ছবিতে স্পেস থাকে নাÑ সবই মানুষের দখলে। আরেকটা বিস্ময়কর বিষয় হলো, তার ছবির মানুষের গায়ের রঙ এবং মাটির রঙ একই। কোনো উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার নেই তার ছবিতে। এসব দেখলে বোঝা যায়, তার চেতনার জগতে আদিম একটা পৃথিবীকে ডেকে আনার বিষয় আছে। আদিম পৃথিবী এজন্যই যে, তখনকার মূল্যবোধের মধ্যে সামষ্টিকভাবে বেঁচে থাকার দর্শন ছিল। সামষ্টিকভাবে বেঁচে থাকার কারণেই, সুলতানের ছবিতে কখনও ‘আমি’ দেখতে পাই না, ‘আমরা’ দেখতে পাই। তার ছবির কৃষকরা যে ফসল ফলায় সেটা আমার নয়, আমাদের। এটাই হচ্ছে সুলতানের ছবি বা তার দর্শনের মর্মবাণী।

এ-কথা বলতেই হবে, সুলতান একটা ফেনোমেনন। সুলতানের মানসিক অবস্থার রূপায়ণ ঘটেছে তার ছবিতে। তার ছবির মানুষের মধ্যে একটা বিদ্রোহের ভাব আছে। এবং সবকিছুই প্রমাণায়তনের চেয়ে বড়, বিপুলায়তন। এই প্রামাণিকতাকে তিনি ভেঙেছেন শক্তির মধ্য দিয়ে। অর্থাৎ, মানুষ অপরাজেয়, মানুষ দুর্দমনীয়।

সুলতানের চিত্রকর্মের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, তার ছবিতে এমন কোনো উপাদান নেই যেটা বাংলাদেশে উৎপন্ন হয় না। যদি উদাহরণ দেই, টিনের ঘর দেখা যায় না তার ছবিতে। কারণ টিন আমরা উৎপাদন করি না। তার ছবির মানুষরা লড়াকু। ঢাল, বল্লম, সড়কি এগুলো নিয়ে লড়াই করছে, এগুলো আমাদের কামারেরা তৈরি করে। তিনি অসংখ্যবার বলেছেন, রিলিফের টিন এবং বাইরে থেকে আনা অস্ত্র আমি সহ্য করতে পারি না। এই বিষয়গুলোর দার্শনিক মূল্য অনেক বেশি। যা আমাদের ভাবতে হবে। 

সুলতানের একমাত্র ছবি, যেটার মধ্যে রূপক বা মেটাফোর আছে সেটা হচ্ছে, ‘প্রথম বৃক্ষরোপণ’, ১৯৭৫ সালে এঁকেছিলেন ছবিটি। ‘প্রথম বৃক্ষরোপণ’ ছবিতে দেখতে পাই, একজন মানুষ স্থিরদৃষ্টিতে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। এবং দুই হাতে চেপে ধরে আছেন একটা গাছের চারা। তার পাশে একটা খুন্তির মতো অস্ত্র আছে। ওপরে দুইজন পরি আছে। একজন মঙ্গল গান গাইছে আরেকজন কলসি হাতে জল সিঞ্চন করছেন (যদিও কলসিটা স্পষ্ট নয়), যাতে মানুষের প্রথম বৃক্ষরোপণ সার্থক হয়। এই ছবির রূপকে আমরা ইতালীয় রেনেসাঁর প্রভাব দেখতে পাই। এই মূর্তির মধ্যে বাংলার কৃষক যেমন আছে, তেমনি মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর সিস্টিন চ্যাপেলের গডের চেহারার প্রভাবও আছে। যদিও এটা পূর্বদেশীয়, কিন্তু পুরো ছবির মধ্যে এক ধরনের রূপক আছে, সেটা হলো বন্দনা; বৃক্ষরোপণকে এখানে বন্দনা করা হচ্ছে, মঙ্গলগান গাওয়া হচ্ছে। এই বিষয়টা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এরপর সুলতান এই জাতীয় কোনো ছবি আর আঁকেননি।

সুলতানের ছবিতে কখনও মৃত্যু নেই। কিন্তু দুইটা ছবি আছেÑ একটা হলো ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। যেখানে দেখা যায়, গাছ থেকে মানুষের শরীর ঝুলছে। আরেকটা হলো টাইডাল বোর, জলোচ্ছ্বাসের ছবি এঁকেছিলেন। সেই ছবিতেও দেখতে পাই, মাঝখানে পড়ে আছে গ্রামীণ জীবনের সবচেয়ে অভিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ মানুষটি এবং তাকে ঘিরে প্রচুর নারী-শিশু, শক্তদেহি মানুষ পড়ে আছে। আশির দশকের শেষের দিকের এই জলোচ্ছ্বাস তাকে খুব কাঁদিয়েছিল। এই দুটি ছবিতেই আমরা মৃত্যুর উপস্থিতি দেখতে পাই। এ ছাড়াও তার কোনো ছবিতে নেতিবাচক তথা পরাজয়ের কোনো ইতিহাস নেই। 

সুলতানের ছবিতে আরও দেখতে পাইÑ এত বেশি অজগরের মতো লাইন এঁকেবেঁকে চলে গেছে এবং লাইনজুড়ে প্রচুর কৃষক যাত্রা করেছে। এত কৃষক কখন কৃষিকাজের জন্য মাঠে যেত আমরা জানি না। এখানে শিল্পী সুলতানের স্বপ্নটা প্রদর্শিত হয়েছে। স্বপ্ন সাধারণত ললিত হয়ে থাকে কিন্তু সুলতানের কাছে স্বপ্ন মানে নগ্নপ্রায় আদিম কৃষক, যারা এই বাংলার সভ্যতাকে পুনরুদ্ধার করবে। যারা পশ্চিমের কাছে বিকিয়ে যাবে না কখনও, যারা নিজেদের ফসল নিজেদের দখলে রাখবে।

আরেকটি বিষয় তার ছবিতে তাৎপর্যপূর্ণ, পঞ্চাশের দশকের শুরুতে তিনি বিদেশে যান। তখন আমেরিকায় বাচ্চাদের স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখেন বাচ্চাদের কীভাবে লালনপালন করতে হয়Ñ সেটা উদ্ধার করেন। অর্থাৎ একটা কল্যাণকামী সমাজের চিন্তা করেছিলেন। তিনি একাধিক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছিলেন, বাচ্চারা ঘুম থেকে উঠে কাঁদে কেন? এজন্য কাঁদে যে তার ক্ষুধা পায়। যদি আমি সেই বাচ্চাকে কিছু খাবার দিতে পারি, তবে সে আমার কথা শুনবে। তিনি বলেছিলেন, ঘুম থেকে ওঠার পর শিশুকে খাবার দিতে হবে এবং এরপর তার হাতে শস্যদানা দিতে হবে, যাতে করে সে মোরগ-মুরগি বা অন্য প্রাণীকে খাওয়াতে পারে। এরপর গাছে পানি দিতে হবে। যাতে করে একদম শৈশব থেকে ওই শিশুটির মধ্যে প্রাণ এবং প্রকৃতির প্রতি মমত্ববোধ তৈরি হয়। সুষ্ঠু নাগরিক, সুষ্ঠু মানব কীভাবে তৈরি হতে পারে, যারা সমাজকে বাঁচাতে পারবে; এই বিপুল স্বপ্ন তার মধ্যে কাজ করেছে। এজন্য তিনি শিশুস্বর্গ এবং শিশুদের ছবি আঁকার স্কুল করেছিলেন।

সবশেষে বলব, সুলতান এই দর্শন পেয়েছিলেন চিত্রা নদীর পাড়ে প্রচুর মানুষ, জেলে, নারী-পুরুষের সমন্বিতভাবে কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থেকে একটা কৃষি সভ্যতাকে সচল রাখার বিষয় অবলোকনের মাধ্যমে। এই কথা আমি প্রায়ই বলে থাকি, জয়নুল যেমন প্রযত্নে ব্রহ্মপুত্র, সুলতান তেমনি প্রযত্নে চিত্রা নদী। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা