প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২০:৩৪ পিএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২১:১৩ পিএম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বঙ্গমাতা দেশের প্রথম ফার্স্টলেডি হয়েও বিলাসী জীবনযাপন করেননি। নীরবে, নিভৃতে তিনি বঙ্গবন্ধু এবং দেশের মানুষকে দান করে গেছেন।’
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গমাতার কাছে কেউ সাহায্য চেয়ে কখনও খালি হাতে ফিরেননি। তিনি নিজের সোনার অলঙ্কার বিক্রি করে মামলার খরচও যুগিয়েছিলেন। অপরিসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন তিনি।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন বক্তব্য দেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘খুব দুঃখের বিষয় হলো বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, একই সঙ্গে বঙ্গমাতাকে হত্যা করা হয়। এটা বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্ক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ককে হত্যার খবর আছে। কিন্তু খুব অল্পসংখ্যক দেশে এ ধরনের উদাহরণ আছে। যেখানে রাষ্ট্রনায়কের সাথে সাথে তার স্ত্রী, ছেলে এবং তার পরিবারের প্রায় ১৭ জনকে হত্যা করা হয়। এমনকি ১০ বছরের ছোট্ট শিশুকেও হত্যা করা হয়। এটা বাঙালি জাতির জন্য একটা কলঙ্ক।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বীকৃত খুনি তাদের প্রায় পাঁচ জন ধরা পড়ে নাই। তাদের এখনও কোনো বিচার হয়নি। এটা আমাদের জাতির জন্য দুঃখের বিষয়। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব। পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন কোথায় আছে আমরা জানি না। বাকি দুই জনের খবর আমরা জানি। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা যেসব দেশে আছে, সেসব দেশ বিভিন্ন অযুহাতে তাদের বিচারের সম্মুখীন করছে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দাবি হবে ঘাতকদের বিচার। ঘাতকরা যেন বিচারের সম্মুখীন হয়, সে ব্যবস্থার জন্য আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিচার না পাওয়া আমাদের জন্য লজ্জার ও দুঃখের। আমি আপনাদের সবার সাহায্য ও সমর্থন কামনা করি।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গমাতা আজীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে বাঙ্গালীর মুক্তির প্রেরণা ও সাহস যুগিছিলেন। তিনি জাতির পিতার আদর্শকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন। দেশপ্রেমের অগ্নি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বঙ্গমাতা নিজেকে যুক্ত করেছেন। তিনি সংগঠনকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন, সংগঠনের বিভিন্ন প্রান্তের নেতাদের সাথে সব সময় যোগাযোগ ছিল। নিজের গহনা বিক্রি করে ছাত্রলীগের সম্মেলনের টাকা দিয়েছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি থেকে তিনি অনেক মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। এছাড়াও দলীয় কার্যক্রম, আন্দোলন, সংগ্রামে নিজের অর্থ সম্পদ দিয়ে সাহায্য করেছেন।’