প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৩০ পিএম
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৪ পিএম
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। প্রবা ফটো
বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন, পরিবর্তন ও প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এটি সংশোধন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ হিসেবে চালু করা হবে। সোমবার (৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি ২০১৮ সালে প্রণয়ন করা হয়। আইনটি নিয়ে গত ৫ বছর আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমাদের আইসিটিতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে, অপরাধের পরিবর্তন হয়েছে। সেসব বিবেচনায় নিয়েই আইনের পরিবর্তন হয়েছে। নতুন আইনটিতে একটি এজেন্সি থাকবে। নাম হবে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি, যা আগে ছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি। এখন সেটা জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি হবে। যা বিধি দ্বারা পরিচালিত হবে।’
আইনটির বিস্তারিত তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগের আইনে অজামিনযোগ্য ছিল, নতুন আইনে জামিনযোগ্য সংযোজন করা হয়েছে। আগে জেলের পরিমাণ বেশি ছিল, জরিমানার পরিমাণ কম ছিল। এবার আর্থিক জরিমানা বাড়ানো হয়েছে। নতুন আইনটি বাস্তবায়ন শুরু হলে আগের আইনটি রহিত হবে।’
তিনি বলেন, ’অনেক ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে ,যা জামিনযোগ্য। তবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কাঠামোতে বেআইনি প্রবেশ, জাতীয় পতাকা, জাতীয়সংগীত, স্বাধীনতা নিয়ে কটূক্তি করা, হ্যাকিংয়ের মতো বড় অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে অজামিনযোগ্য রাখা হয়েছে।’
অজামিনযোগ্য ধারাগুলোর মধ্যে আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা ১৭, ১৯, ২১, ২৭, ৩০, ৩৩ রয়েছে। আর জামিনযোগ্য ধারার মধ্যে রয়েছে ১৮, ২০, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৬।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইনে আগে হওয়া মামলা চলবে আগের নিয়মে। আইনটির আজ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। আরও অনেক কাজ রয়েছে। সেসব শেষ করে সেপ্টেম্বর নাগাদ চূড়ান্ত হবে।
আগের আইনটি অপব্যবহার হয়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ’সেটা বলা যাবে না। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আইনটি করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আইনটি করা হয়েছে।’
এ ছাড়া নীতিগত অনুমোদ পেয়েছে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন (সংশোধন), ২০২৩-এর খসড়া, ‘বাংলাদেশ অ্যালাইড হেলথ শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৩’ এবং ‘প্রত্নসম্পদ আইন, ২০২৩’-এর খসড়া।
১২ ডিসেম্বর তারিখকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’-এর পরিবর্তে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।