তামাকবিরোধী সেমিনারে বক্তারা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ২০:২১ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ২০:৩৫ পিএম
এসডিজি লক্ষ্যমাত্রায় তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন বাস্তবায়ন জোরদার এবং ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগের কারণে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনার নির্দেশনা রয়েছে। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালীকরণের যে উদ্যোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে এ দুটো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজতর হবে বলে মতপ্রকাশ করেছে তামাকবিরোধী নাগরিক সংগঠন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত ‘এসডিজি বাস্তবায়নে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, ’এসডিজি বাস্তবায়নে তামাক নিয়ন্ত্রণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হিসেবে উল্লেখ করে এ লক্ষ্যে আইন সংশোধনসহ বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনের প্রয়োজন রয়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান বলেন, ’তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত হলে সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের সঙ্গে বহুলাংশে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। আর তাতে অধূমপায়ীদের পরোক্ষ ধূমপান থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের নাগরিকদের তামাক ব্যবহারের সম্ভাবনাও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমবে।’
সম্মানিত আলোচক ছিলেন বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এসএম জুলফিকার আলী, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি-বিষয়ক) মো. মনিরুল ইসলাম এবং বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের হেড অব প্রোগ্রামস শাহীন উল আলম।
ড. এসএম জুলফিকার আলী বলেন, ’সংশোধনীটি দ্রুত চূড়ান্ত হলে তা স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ কমাতে সহায়ক হবে এবং পুরো অর্থনীতিই তার সুফল ভোগ করবে।’
মোস্তাফিজুর রহমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান বাতিলের যে বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, ’এই প্রস্তাব কার্যকর করা গেলে কিশোর-তরুণদের তামাকের বিষয়ে আগ্রহী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি কমে আসবে।’