প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১২:০৫ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১২:২৮ পিএম
ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করে যাওয়ায় দেশের সবক্ষেত্রেই উন্নতি হচ্ছে। ডিজিটাল থেকে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে।’ এ সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে যারা সমালোচনা করেছিল তারাই এখন সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নেওয়া বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারে সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের প্রতিটি টেলিফোন ছিল অ্যানালগ। আমরাই প্রথম উদ্যোগ নিয়ে ডিজিটাল টেলিফোন চালু করি। আর মোবাইল ফোন ঢাকা আর চট্টগ্রাম ছাড়া কোথাও চলত না। একটা মাত্র কোম্পানি ছিল, মোবাইলে কল করলে ১০ টাকা প্রতি মিনিট, ধরলেও ১০ টাকা প্রতি মিনিট।
‘সেই জায়গা থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল মানুষের হাতে হাতে মোবাইল পৌঁছে দেওয়া। আজকে কম খরচে কথা বলা, ইন্টারনেট চালাচ্ছে সবাই,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশের মানুষ প্রযুক্তি খুব দ্রুত ধারণ করতে পারে। এখন সবাই মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার করা শিখেছে। আমরা চাই সবাই প্রযুক্তিগত দিকে দক্ষ হয়ে উঠুক। আমরা গ্রাম পর্যায়ে, স্কুলে স্কুলে কম্পিউটার দিয়েছি।’
গ্রাম পর্যায়ে এ সুযোগ আরও তৈরি করতে তাদের আর্থিক সঙ্গতি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন সরকারপ্রধান। প্রযুক্তি পরিবর্তন হচ্ছে উল্লেখ করে এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য উপযুক্ত দক্ষ শ্রমিক গড়ে তুলতে হবে বলেন তিনি। এ বিষয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সকে দেখতে বলেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘প্রযুক্তি আমাদের অনেক সুযোগ করে দেয়। আমরা সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে করতে কায়িক শ্রমের কোনো দরকার পড়বে না। ড. শহীদুল্লাহ অনেক আগে একটি আর্টিকেলে লিখেছিলেন যে, একসময় মানুষের অবয়ব কেমন হবে। তিনি লিখেছিলেন বড় একটা মাথা থাকবে আর দুটি আঙুল থাকবে বোতাম টেপার জন্য। তখন আমরা চিন্তা করতাম এসব কথা তিনি কোথায় পান। আজকে দেখছি তার কথাই সত্যি।’