প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১১:০১ এএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১১:১৩ এএম
ছবি: সংগৃহীত
নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ে চমক দেখিয়েছে দেশের তৈরি পণ্য। এ সময় রপ্তানি হয়েছে ৪৫৯ কোটি ইউএস ডলারের পণ্য। এই রপ্তানি এর আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি। এর পাশাপাশি চলতি বছরের জুলাই মাসে সরকার যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল তা পূরণ করেও ২ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছে।
বুধবার (২ আগস্ট) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
ইপিবির তথ্য মতে, গত জুলাইয়ে ৪৫৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের জুলাইয়ে রপ্তানি হয়েছিল ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার সমপরিমাণ পণ্য। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় ৬০ কোটি ৮১ লাখ ইউএস ডলার পরিমাণ আয় বেড়েছে।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ ২৬ ধরনের পণ্য রপ্তানি করে। এর মধ্যে ১৭টি খাতের রপ্তানি বেড়েছে। এই ১৭ খাতের মধ্যে যথারীতি রপ্তানি সবচেয়ে বেশি হয়েছে পোশাক খাত থেকে।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে সরকার এবার ৬২ বিলিয়ন ডলার বা ৬ হাজার ২০০ কোটি ইউএস ডলার পরিমাণ পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি করবে। তাতে প্রবৃদ্ধি হবে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। তার মধ্যে একক মাস হিসেবে জুলাই মাসে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ বিলিয়ন বা ৪৪৮ কোটি ১০ লাখ ইউএস ডলার পরিমাণ পণ্য। আর সরকারের রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৫৯ কোটি ২০ লাখ ইউএস ডলার পণ্য। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বেড়েছে। এর আগের বছর ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
খাতভিত্তিক রপ্তানি তথ্যে দেখা যায়, জুলাইয়ে রপ্তানি আয় সবচেয়ে বেশি হয়েছে তৈরি পোশাক থেকে। এ খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। অর্থাৎ মোট রপ্তানি হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের পোশাক পণ্য।
এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২২৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের (প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ) এবং ওভেন পোশাক বিদেশে গেছে ১৬৮ কোটি ৭২ লাখ ডলারের (প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ)।