প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩ ১৮:১২ পিএম
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৩ ১৮:৩৯ পিএম
শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন। ফোকাস বাংলা ফটো
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি আর আওয়ামী লীগ ডেকেছে শান্তি সমাবেশ। এ ছাড়া আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেছে নানা কর্মসূচি। পাল্টাপাল্টি এসব কর্মসূচি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। এমতাবস্থায় নিরাপত্তার স্বার্থে আজকের মধ্যেই সব শিক্ষককে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একই সঙ্গে শিক্ষকদের এই আন্দোলনের পেছনে একটি মহলের উস্কানি রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ’শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিটি দীর্ঘদিনের। জাতীয়করণের বিষয়টি খুব সরল কোনো বিষয় নয়। শিক্ষায় ক্যাডার ও নন-ক্যাডার শিক্ষক আছেন। পিএসসি পাস করে সরকারি শিক্ষক আছেন। আবার বেসরকারিতে এমপিও এবং নন-এমপিও শিক্ষক আছেন। সব মিলিয়ে ৫৭-৫৮ ভাগের শিক্ষক আছেন। এখন তাদের একসঙ্গে আনতে হলে নানা জটিলতা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বসে দেখলাম জাতীয়করণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই নেতাদের মধ্যে। তাই আমরা নেতাদের নিয়ে আগামীকাল ও পরশু দুদিনের একটি আবাসিক কর্মশালা করব। এই দুদিনের কর্মশালা থেকে যে সুপারিশ আসবে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা দীর্ঘ পক্রিয়া।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ’ঠিক নির্বাচনের আগে বিরোধী দল যখন নানা আন্দোলন করছে, সেই সময় শিক্ষকদের এই আন্দোলনের পেছনে অনেক উস্কানি আছে। উনাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। জাতীয়করণের পদ্ধতি কী সেটা জেনেই তো আমাদের এগোতে হবে। কোন পদ্ধতিতে কাজ হবে, সেটা শুরু করেছে সরকার। এ সময় যদি উনারা রাস্তায় থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে উনারা জাতীয়করণ চান না, উনাদের এজেন্ডা অন্য কিছু।’
শিক্ষার্থীদের জিম্মি না করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা শিক্ষক, আপনাদের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন সরকারের অঙ্গীকার। আপনারা ক্লাসে ফিরে যান। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করবেন না। এখানে থাকা মানে এজেন্ডা ভিন্ন।’
২৭ জুলাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে শিক্ষকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হাওয়ার আশঙ্কা করে তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল যেখানে কর্মসূচি পালন করছে সেখানে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আগামীকাল তাদের ডাকা কর্মসূচিতে যদি আন্দোলনরত শিক্ষকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, তাহলে তার দায়িত্ব কে নেবে? এ দায়িত্ব কি আন্দোলনরত শিক্ষকদের নেতারা নিতে পারবেন? কাজেই আমি অবশ্যই বলছি আজকে তারা যেন শ্রেণিকক্ষে ফিরে যান। আমরা তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এরপর যদি তাদের কোনো চাওয়া থাকে তাহলে পরবর্তীতে অবশ্যই (আন্দোলনে) আসতে পারে। কিন্তু ২৭ তারিখ এখানে একটা সমস্যা হতে পারে বলে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। এ অবস্থায় শিক্ষকদের এখানে এনে যারা বসিয়ে রেখেছেন, তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন।’