প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩ ১২:৪৯ পিএম
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৩ ১৩:১০ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে দ্বিপক্ষিক বৈঠক করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের ইতালিতে অভিবাসনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক দ্বিপক্ষিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পালাজ্জো চিগিতে পৌঁছলে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান জর্জিয়া মেলোনি। পরে তাকে সেখানে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষিক বৈঠকে অনথিভুক্ত বাংলাদেশি প্রবাসী, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের কর্মীরা এখানে খুব ভালো কাজ করছে। তাদের যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। তবে আমি অবৈধ শ্রমিক চাই না।’
জর্জিয়া মেলোনি বলেন, তারা চায় না অবৈধ বাংলাদেশিরা ইতালিতে থাকুক কেননা স্থানীয়রাও তা চায় না। মোমেন বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের জন্য বৈধ উপায়ে জনশক্তি পাঠানোর দরজা খুলে দিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নথিভুক্ত ও অনথিভুক্ত দুই ধরনের বাংলাদেশি দুই দেশের কল্যাণে কাজ করছে। তবে বাংলাদেশও অবৈধ অভিবাসনকে নিরুৎসাহিত করে। আমি অবৈধ অভিবাসনের প্রতি শূন্য সহনশীলতা নীতিতে বিশ্বাসী।’
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্য দেশ থেকে অবৈধ পথে ইতালিতে আসা অভিবাসী বাংলাদেশিদের আটকাতে ইতালির কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ৩৯টি হাই-টেক পার্কের উন্নয়ন করছে উল্লেখ করে ইতালিকে বিশেষ অঞ্চল ও পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আপনি চাইলে আমি আপনার জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থা করব।’
জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘ইতালি ও বাংলাদেশ যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা বাণিজ্য জোরদার করতে পারে।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে চামড়াজাত পণ্য আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করতে ইতালির প্রতি আহ্বান জানান। জবাবে ইতালির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ দেখানো হয়।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য ইতালি সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনে ইতালির জোরালো সমর্থন অব্যাহত রাখতে বলেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করতে শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ জানালে গ্রহণ করেন জর্জিয়া মেলোনি।
দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এবং ইতালির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্তোনিও তাজানি জ্বালানি সহযোগিতা সমঝোতা স্মারক এবং ৫ বছরের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারক বিনিময় করেন।
ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম এবং ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস