× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নির্বাচনের আগে সবার চোখ অবৈধ অস্ত্রে

আলাউদ্দিন আরিফ

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৩ ১২:৫৩ পিএম

আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৩ ১২:৫৩ পিএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই উদ্বেগ বাড়ছে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে। পুলিশ, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-সহ আইনপ্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা প্রায়ই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। এসব অস্ত্র রাখা এবং ক্রয়-বিক্রয়ের কারবারে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগেও গ্রেপ্তার হচ্ছে অনেকে। তারপরও এর ব্যবহার এবং চাহিদা কমছে না। নির্বাচনের সময় এবং এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তীকালেও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কারণে খুনোখুনি এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে পুলিশ। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারা দেশে বিশেষ অভিযানের পরিকল্পনাও নিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। 

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে উদ্ধার করা অবৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ছিল ৫ হজার ৮৭৯টি। এই সময় অস্ত্র মামলা হয়েছে ১ হাজার ৫৪০টি। এলিট ফোর্স র‌্যাব ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৯৪টি আগ্নেয়াস্ত্র অস্ত্র উদ্ধার করে। ২০২১ সালে র‌্যাব দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৯৬৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। আগের বছর ২০২০ সালে উদ্ধার করে ৮৪৬টি আগ্নেয়াস্ত্র। র‌্যাবের এ পরিসংখ্যান থেকেও অবৈধ অস্ত্রের চাহিদা, ব্যবহার ও উদ্ধার বৃদ্ধির চিত্র দেখা যাচ্ছে। 

র‌্যাব ২০২২ সালে উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে একে-৪৭ (এসএমজি), একে-২২, রকেট লাঞ্চারের মতো ভয়ানক অস্ত্রও রয়েছে। ওই বছর সংস্থাটি ২২১টি বিদেশি রিভলভার ও পিস্তল এবং ৪৫টি দেশি রিভলবার এবং পিস্তল উদ্ধার করে। গোলাবারুদ উদ্ধার করে ৭ হাজার ১৩৬টি। বিস্ফোরক উদ্ধার করে ৫৫ কেজি এবং গ্রেনেড উদ্ধার করে ১৫টি। অস্ত্র কেনাবেচায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ৫২১ জনকে। এ ছাড়া অস্ত্র রাখার অভিযোগে ১১ জন ও বিস্ফোরক সরবরাহ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ৮৬ জনকে। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ৩৯টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। গত জুন মাসে উদ্ধার করে একটি পিস্তল ও ১০ কেজি পেট্রোলবোমা তৈরির গান পাউডার।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, উদ্ধার করা অস্ত্রের বাইরে অস্ত্রধারী ও অস্ত্র কারবারিদের কাছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্রের মজুদ রয়ে গেছে। নতুন নতুন অস্ত্রও আসছে প্রায়ই। এসব অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তাই অবৈধ অস্ত্রের উৎস, পরিবহনকারী, বিক্রেতা, ক্রেতাসহ সব কারবারিকে চিহ্নিত করে দ্রুত কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রতিবেশী দেশে অবৈধ অস্ত্রের কারখানা 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভারত ও মিয়ানমারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ছোট ছোট কারখানায় তৈরি হয় অত্যাধুনিক অস্ত্র। ভারতের বিভিন্ন এলাকায় কারবারিদের নিজ বাড়ি বা ভাড়া করা বাসায় লেদমেশিন বসিয়ে তৈরি করা অস্ত্র দেশি-বিদেশি চক্রের হাত ঘুরে আসে বাংলাদেশে। এসব অস্ত্র এবার ব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার, দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। 

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্র আসে মূলত ভারত, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা থেকে। ভারতের বিহার রাজ্যের মুঙ্গের, ঝাড়খন্ড, মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, মালদহসহ বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রের বেশ কিছু ছোট ছোট কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় কাজ করছেন মুঙ্গেরে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন অস্ত্র কারখানার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দক্ষ কারিগররা। বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা এলাকায় ভারতে অস্ত্র তৈরির কমপক্ষে ৩০টি কারখানা রয়েছে। যেখানে তৈরি হওয়া অস্ত্র চলে আসে বাংলাদেশে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে থাকা সীমান্তের কমপক্ষে ২০টি পয়েন্ট দিয়ে এসব অস্ত্র দেশে ঢুকছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত ও আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসীদের হাত ঘুরে এসব অস্ত্র চলে যাচ্ছে রাজনৈতিক দল আশ্রিত মাস্তানদের হাতে। যা দিয়ে নির্বাচনসহ বিভিন্ন সময়ে খুনখারাবির ঘটনাও ঘটছে।

রুট চিহ্নিত করেছে পুলিশ ও র‌্যাব

পুলিশ ও র‌্যাব বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশের বিভিন্ন রুট চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, যশোরের বেনাপোল ও চৌগাছা সীমান্ত, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, সাতক্ষীরার শাঁকরা ও ভোমরা, মেহেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও ভোলাহাট, লালমনিরহাটের বুড়িমারী, সিলেটের ডাউকি, কুমিল্লা সীমান্ত, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া।

পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের অস্ত্র ব্যবসা

গত ২৩ জুন রাজধানীর ডেমরা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার প্রতিষ্ঠাতা দুর্ধর্ষ জঙ্গি শামিন মাহফুজ ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের সময় একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) জানায়, পিস্তল ছাড়াও তার কাছে পাওয়া যায় ৩ রাউন্ড গুলি, বোমা তৈরির আইইডি ডেটোনেটর, জেল এক্সপ্লোসিভসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। সিটিটিসি জানায়, এসব অস্ত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে মাহফুজ। 

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা বলেন, পার্বত্য বান্দরবানের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বা বম পার্টি পাহাড়ে অর্থের বিনিময়ে সশস্ত্র জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয়। ২০২২ সালের শুরুতে পাহাড়ের ট্রেনিং ক্যাম্পে নতুন এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন শামিন মাহফুজ। কুকি-চিন নেতা নাথান বমের সঙ্গে জঙ্গিদের অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষণও সমন্বয় করেন তিনি।

পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র গ্রুপগুলোর কাছ থেকেও সমতলের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা অস্ত্র সংগ্রহ করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে চারটি উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠনের বিপুলসংখ্যক সশস্ত্র ক্যাডার সক্রিয় রয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এলাকায় জেএসএস (মূল), জেএসএস (সংস্কার), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ (মূল) ও ইউপিডিএফ (সংস্কার)-এই সশস্ত্র চার গ্রুপ নানাভাবে সক্রিয়। তাদের পাশাপাশি নতুন সংগঠন কেএনএফ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া। তাদের সবার সংগ্রহে রয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নয়াস্ত্র। আছে মগ লিবারেশন আর্মিÑ যারা মগ পার্টি নামে পরিচিত। এসব সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডারের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। তাদের প্রত্যেকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে জানা গেছে। 

পুলিশ ও গোয়েন্দা তথ্যমতে, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে পুরোনো অস্ত্রের পাশাপাশি নতুন এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এম-১৬ রাইফেল, মিয়ানমারে তৈরি এম-১ রাইফেল, একে-৪৭ রাইফেল, একে-২২ রাইফেল এবং এলএমজি (লাইট মেশিনগান), হেভি মেশিনগান, জি-৩ রাইফেল, ৭.৬২ মি.মি. এসএমজি, অ্যাসল্ট রাইফেল ও স্নাইপার রাইফেলের মতো ভয়ংকর মারণাস্ত্র। মিয়ানমারসহ একাধিক দেশ থেকে তারা এসব অস্ত্র, গুলি ও প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকে। যৌথ বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকেও প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অস্ত্র আসছে। মাঝেমধ্যে কিছু ধরা পড়লেও তা খুবই সামান্য। পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের হাত ঘুরে এসব অস্ত্রের একটি অংশ সমতলের সন্ত্রাসীদের হাতেও যাচ্ছে। দুর্গম সীমান্তের কারণে খুব সহজেই সন্ত্রাসীদের হাতে মারণাস্ত্র চলে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের মধ্যে কোনো সীমান্তচৌকি (বিওপি) নেই। ফলে এই পথে বাধাহীনভাবে অস্ত্র প্রবেশ করছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। 

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন) মো. আনোয়ার হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশের সবগুলো ইউনিটে সব সময়ই নির্দেশনা দেওয়া থাকে। নিজস্ব অনুসন্ধান, গোয়েন্দা তথ্যসহ নানাভাবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে কাজ করা হয়। আমরা প্রতি মাসে সব ইউনিট থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে থাকি।’ নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে বিশেষ অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের এখনও দেরি আছে। নির্বাচনের আগে সে রকম পরিস্থিতি হলে অবশ্যই আমরা বিশেষ অভিযান, চিরুনি অভিযানসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যা যা করা দরকার, সবই করব।’

বেশি অস্ত্র আসে যশোর ও রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে 

অবৈধ অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে বেশিরভাগ অবৈধ অস্ত্র আসে যশোর ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্ত দিয়ে। ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট কারখানায় এসব অস্ত্র তৈরি হওয়ার তথ্য আমরা পেয়েছি। এসব অস্ত্রের গায়ে ‘মেইড ইন ইন্ডিয়া’ লেখা থাকে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসীরা নানা কারণে অবৈধ অস্ত্র বেশি সংখ্যায় ব্যবহার ও আনার চেষ্টা করে। এ সময় উদ্ধারও বেশি হয়। নির্বাচন বা যেকোনো পরিস্থিতিই হোক, আমরা নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যসহ যেকোনো সূত্র থেকে কারও কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকার তথ্য পেলেই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করি। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর কাছ থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অস্ত্র পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে অবৈধ অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা বলেছে, কেএনএফসহ পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা জঙ্গিদের টাকার বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি প্রশিক্ষণও দিয়ে আসছে। পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা নিজেরাও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যসহ সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটাচ্ছে। তারা প্রতিবেশী একাধিক দেশ থেকে এসব অস্ত্র পাচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়েও অভিযান অব্যাহত আছে।’

যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা 

অবৈধ অস্ত্রের উৎস ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিচালক বলেন, ‘আমরা যখনই অস্ত্র বা মাদকের কোনো কারখানার সন্ধান পাই, বিএসএফ-বিজিবির মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনসহ বিভিন্ন সম্মেলনে সে সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে প্রতিকার চাই। আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্ত্রের কারখানা সম্পর্কে খবরাখবর রাখা হয়। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান বন্ধের বিষয়ে সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।’ 

সাবেক আইজিপি ও অপরাধ বিশ্লেষক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার একটি অবৈধ অস্ত্রের কারবার। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা অতীত থেকেই অস্ত্রের ব্যবহার দেখে আসছি। এ সময় সাধারণত প্রয়োজন অনুসারে সরকার বৈধ অস্ত্র থানায় জমা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযানও পরিচালনা করা হয়। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে এ সময় অস্ত্র উদ্ধারের প্রতিযোগিতা হয়। এসব অভিযান সফল করে তুলতে অস্ত্র চোরাচালানে ব্যবহৃত রুটগুলোতে গোপন ও প্রকাশ্য নজরদারি বাড়ানো জরুরি। এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবার সক্রিয় ভূমিকা রাখাও প্রয়োজন।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা