প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৩ ১৯:২৮ পিএম
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৩ ২৩:৫৩ পিএম
ফাইল ফটো
সরকারি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ ও আইসিটি বিভাগের সমন্বয়ে কমিটি দুটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি জানান, সোমবার (১০ জুলাই) তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে ৷
এর আগে ৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে একটি সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে।
তথ্য উন্মুক্ত থাকা ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ না করে জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমরা দেখেছি যেই ওয়েবসাইট থেকে তথ্যগুলো প্রকাশিত হয়ে গেছে, সেখানে নূন্যতম যে সিকিউরিটি সার্টিফিকেট নেওয়ার কথা ছিল, সেটি ছিল না। যেই এপিআইটা তৈরি করা হয়েছে, সেখান থেকে ইচ্ছা করলেই যে কেউ তথ্যগুলো দেখতে পাচ্ছে। সাইবার হ্যাকার, সাইবার ক্রিমিনালরা এটা হ্যাক করেছে বা তথ্য চুরি করেছে তদন্তে এ রকমটা পাইনি। আমরা পেয়েছি, আমাদের সরকারের ওই ওয়েবসাইটটিতে কিছু টেকনিক্যাল দুর্বলতা ছিল। যার ফলে আসলে তথ্যগুলো সহজেই দেখা যাচ্ছিল, পড়া যাচ্ছিল এবং বলতে গেলে সকলের জন্য এটা প্রায় উন্মুক্ত ছিল। যেটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।
প্রতিমন্ত্রী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন জেনারেলের কার্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তথ্যগুলো প্রকাশ পেয়েছে বলে ইঙ্গিত দিলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কিছু জানে না বলে জানানো হয়েছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন জেনারেলের কার্যালয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে।