প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩ ১৬:১২ পিএম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩৪ পিএম
বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্র্যাঞ্চ। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে নাগরিকদের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর।
গত ২৭ জুন কাজ করতে গিয়ে ঘটনাচক্রে এই ফাঁসের তথ্য আবিষ্কার করেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান বিট্র্যাকের গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কোপোলোস এরপর দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম বা সার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশি কয়েক লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে সেখানে।
ভিক্টর মার্কোপোলোস বলেন, তিনি গুগলে এসকিউএল ত্রুটি নিয়ে তথ্য খোঁজার সময় বাংলাদেশ সরকারের এই ডেটাগুলোকে (নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য) ফলাফল হিসেবে হাজির করে গুগল। তিনি এগুলো খুঁজছিলেন না বা খোঁজার কোনো ইচ্ছাও তার ছিল না।
তবে সরকারের কোন ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য ফাঁস হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি টেকক্র্যাঞ্চ। এমনকি সেসব ডেটা এখনও ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলেছে তারা।
সংস্থাটি পাবলিক সার্চ টুল ব্যবহার করে আক্রান্ত সরকারি ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া ফাঁস হওয়া তথ্য বৈধ কি না, তা যাচাই করেছে। যেমন- নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা কোনো ব্যক্তির নাম দেওয়ার পর এর সঙ্গে তার বাবা-মার নাম ও অন্যান্য তথ্য বের হয়ে আসছে। টেকক্র্যাঞ্চ ১০টি বিভিন্ন সেটের ডেটা দিয়ে এটা করার চেষ্টা করে দেখেছে, প্রতিবারই সঠিক তথ্যটিই আসছে।
ফাঁসের বিষয়ে মন্তব্য জানতে টেকক্র্যাঞ্চ ই-মেইলে বাংলাদেশ সরকারের কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও মন্তব্য পায়নি বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। যেটি ইউনিক আইডি হিসেবে পরিচিত। বেশকিছু সেবা পেতে এই আইডি কার্ড অপরিহার্য। এসব সেবার মধ্যে রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, ভূমি কেনাবেচা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাসহ বিভিন্ন কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক।
ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো অনলাইনে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাইবার সিকিউরিটির গবেষক মার্কোপোলোস।
তথ্য ফাঁসের বিষয়ে জানতে বাংলাদেশের বিজিডি ই-গভ সার্ট, সরকারের প্রেস অফিস, ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশি কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল টেকক্র্যাঞ্চ। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ওয়েবসাইটটি।