প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৮:৩৫ পিএম
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করে তা দখলে রাখার অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজার আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন। দুদকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, আপন জুয়েলার্সের গুলজার আহমেদ ২০১৮ সালের ২ জুলাই দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২২ কোটি ৫২ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ টাকার স্থাবর এবং ৫০ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৮০৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৭৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার ৭১৪ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে সংগৃহিত তথ্য ও প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে আসামি গুলজার আহমেদের অস্থাবর সম্পদের মূল্য পাওয়া যায় ৫২ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ২৮৯ টাকা। অর্থাৎ, আসামির দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শিত অস্থাবর সম্পদের চেয়ে এক কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৪৮০ টাকার সম্পদ বেশি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে গুলজার আহমেদ তার সম্পদ বিবরণীতে ওই ১ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৪৮০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় গুলজার আহমেদ ২২ কোটি ৫২ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫২ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার২৮৯ টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং ৮ কোটি ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ২৭২ টাকার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ সর্বমোট ৮৩ কোটি ২৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়। রেকর্ডপত্র মোতাবেক তার দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া যায় ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭ টাকা। আসামির অর্জিত মোট সম্পদ হতে দায়-দেনা বাদ দিয়ে নিট সম্পদের মূল্য পাওয়া যায় ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৮৯ হাজার ৪০০ টাকা। অপরদিকে, অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য ও রেকর্ডপত্র অনুযায়ী তার মোট বৈধ আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৪১ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার ৫৫১ টাকা।
এক্ষেত্রে, আসামির মোট অর্জিত সম্পদ হতে বৈধ আয় বাদ দিলে ৩০ কোটি ৫৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮৪৯ টাকার সম্পদ বেশি পাওয়া যায়। সুতরাং আসামি গুলজার আহমেদ ওই টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্রে প্রমাণ পাওয়া যায়। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আসামি গুলজার আহমেদ দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে।