প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৬:২২ পিএম
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪৪ পিএম
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, জাইকা দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। কিন্তু তারা আমাদের দেশের প্রকল্পের ধীরগতিতে সন্তুষ্ট নয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বড় অবকাঠামোতে তাদের আগ্রহ বেশি।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) পরিকল্পনামন্ত্রীর কার্যালয়ে জাইকার নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিচি ও তার দল সাক্ষাৎ করতে আসেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ’আমাদের প্রকল্প প্রক্রিয়ায় যে সময় লাগে তাতে তাদের মাঝেমধ্যে অসুবিধা হয়। একই ধরনের কাজ তাদের দেশে দ্রুত হয়ে যায়। তাদের মতো আমরা করতে পারি না। আমরা তাদের বুঝিয়েছি, আমাদের নিয়মকানুন আছে, এগুলো মানতে হয়। সংসদে জবাব দিতে হয়। আমরা এর মধ্যেও চেষ্টা করব প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে।’
তিনি বলেন, ’তারা চলমান প্রকল্প ঘুরে দেখে এসেছে। বিশেষ করে আড়াইহাজার প্রকল্প। এটির কাজ দেখে তারা সন্তুষ্ট। আরও বেশি করে প্রকল্প প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাইকা। তাদের সম্পদ আছে, ইচ্ছাও আছে। তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায়।’
এমএ মান্নান বলেন, ’হলি আর্টিজানে তাদের নিহত নাগরিকদের স্মরণ করতে তারা এখানে এসেছে। আমিও তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। এটি নিয়ে আমরা মর্মাহত। এমন কলঙ্কজনক ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব।’
জাইকা কোন ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ’আমি তাদের বলেছি প্রথমত অবকাঠামো, দ্বিতীয়ত মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্য খাতেও তাদের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ।’
এমএ মান্নান বলেন, ’তারা মানবসম্পদ উন্নয়ন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও বড় বড় অবকাঠামো উন্নয়নে আগ্রহী।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাইকার নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিচি বলেন, ’বাংলাদেশ সব সময় জাইকার কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আমি কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছি, তা দেখে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে ঢাকায় এমআরটি প্রকল্প, আড়াইহাজারে এসইজেড প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প পরিদর্শন করেছি। অবকাঠামো উন্নয়ন এ দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাইকা বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নে আরও সহায়তা করতে চায়।‘
জাইকার সুদের হার বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ’সুদের হার বাড়ানো হয়েছে জাপান সরকারের সিদ্ধান্তে। আমার মতে, এটি করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের বিবেচনায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশের জন্যই সুদের হার বাড়িয়েছে জাইকা। আর এটি ঠিক করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিবেচনায়।’