প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৩ ১৯:৩২ পিএম
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৩ ২০:২২ পিএম
বলপয়েন্ট কলমের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংগৃহীত ফটো
অবশেষে বলপয়েন্ট কলমের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কলমের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এরপরও অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকসহ অনেকের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার পর প্রজ্ঞাপন জারি করে কলমে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত মাসের শেষ দিকে প্রজ্ঞাপন জারি হলেও রবিবার (২ জুলাই) তা প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বলপয়েন্ট কলমের ওপর কোনো ধরনের ভ্যাট ছিল না। প্রস্তাবিত বাজেটের পর থেকে বিভিন্ন ফোরামে কলমের ভ্যাট, ন্যূনতম কর দুই হাজার টাকা বাতিলের দাবি করা হয়। নির্বাচনী বছরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে এসব সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় সরকার।
জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো ভুল থাকলে বা কোনো বিষয়ে চাপ তৈরি হলে তা পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে পরিবর্তন করা হয়।
এক্ষেত্রে বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সরকারের মধ্যে একধরনের চাপ ও অস্বস্তি কাজ করছিল বিধায় শেষ পর্যন্ত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করতে গিয়ে বাজেট প্রণয়নে কোনো চাপ ছিল না বলে দাবি তাদের। যদিও প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিক টেবিলওয়্যার, অ্যালুমিনিয়াম কিচেনওয়্যার, পলিপ্রোপাইলাইন স্ট্যাপল ফাইবার ও টিস্যু পেপারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়িয়েছে সরকার।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮৮ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। যা জিডিপির মাত্র ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। যা জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। অথচ জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক শাখা ইউনেসকোর মতে, কোনো দেশের জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা উচিত।