প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৩ ০৯:৪৩ এএম
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৩ ১১:০৭ এএম
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসানে নৃশংস জঙ্গি হামলার ৭ বছরেও মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ আদালত আলোচিত এই মামলার রায়ে ৭ জঙ্গিকে ফাঁসি এবং একজনকে খালাস দেন। এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রায় ঘোষণার পর আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আপিল করেন। খালাস পাওয়া একজনের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। বর্তমানে উচ্চ আদালতে এই মামলার আসামিপক্ষের জেরা চলছে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিসানে ভয়াবহ ওই জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। এ ছাড়া জঙ্গিদের ছোড়া গুলি ও বোমায় পুলিশের অনেক সদস্য আহত হন।
দেশের ইতিহাসে গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলাকে জঙ্গিদের চালানো অন্যতম বড় আঘাত বলে বিবেচনা করা হয়। ঘটনার দিন ৫ জঙ্গি আগ্নেয়াস্ত্র, চাপাতি ও গ্রেনেড নিয়ে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়ে এবং সেখানে থাকা লোকজনকে জিম্মি করে। পরদিন সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ জিম্মিদশার অবসান হয়। সেনা অভিযানে হামলাকারী ৫ জঙ্গি নিহত হয়। নিহত জঙ্গিরা হলেন-- রোহান ইমতিয়াজ, সামিউল মোবাশ্বির, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম।
হামলার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিবৃতি দেয়। এ ছাড়া হামলাকারী পাঁচজনকে তাদের ‘সৈনিক’ বলেও দাবি করে জঙ্গি সংগঠনটি। তবে সরকার আইএসের এই দাবি নাকচ করে দিয়ে জানায়, দেশীয় জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি এই হামলার জন্য দায়ী।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জঙ্গিরা অনলাইন ও অফলাইনে সক্রিয় আছে। তবে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরাও নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছি।