প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩ ২০:০২ পিএম
আপডেট : ১৫ জুন ২০২৩ ০৫:০২ এএম
সংগৃহীত ফটো
লিফট ও এস্কেলেটর আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার চায় এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ এলিভেটর এস্কেলেটর অ্যান্ড লিফট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া)।
বুধবার (১৪ জুন) সংগঠনটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে লিফট ও এস্কেলেটরের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর বনানীর একটি ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। এতে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি এমদাদ উর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল।
এমদাদ উর রহমান বলেন, ’২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে আবারও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত রেখেই বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১৫ শতাংশ (৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক + ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর + ৫ শতাংশ অগ্রিম কর) থেকে বৃদ্ধি করে সর্বমোট ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ (১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক + ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর + ৫ শতাংশ অগ্রিম কর) করা হয়েছে এবং এস্কেলেটরকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত করে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১১ শতাংশ (১ শতাংশ আমদানি শুল্ক + ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর + ৫ শতাংশ অগ্রিম কর) থেকে বৃদ্ধি করে সর্বমোট ৪০ শতাংশ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ’২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহ, মুদ্রানীতির স্থায়ী মন্দা, বিভিন্ন দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ইত্যাদি কারণে লিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। চলতি অর্থবছরে লিফটের ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করায় আমদানিকারকদের আরও বেগতিক অবস্থায় পড়তে হয়েছে এবং এ সময় লিফটকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।’ লিফট ও এস্কেলেটরকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরিতে রেখে আগের ১১ শতাংশ (১ শতাংশ আমদানি শুল্ক + ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর + ৫ শতাংশ অগ্রিম কর) শুল্ক করহার বহাল রাখার দাবি জানান তিনি।
শফিউল আলম জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পের লিফট ও এস্কেলেটরের বর্তমানে চলমান হাতে নেওয়া কার্যাদেশের মূল্য প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা। একইভাবে বেসরকারি খাতে যা ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার/ইউরোর মুদ্রা বিনিময় মূল্যের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা কার্যকরী না থাকায় ডলার/ইউরোর অনিয়ন্ত্রিত মূল্য এবং ১০০ শতাংশ মার্জিনে এলসি খুলতে এমনিতেই সরবরাহকারী/আমদানিকারকদের নাভিশ্বাস। তার ওপর বাজেটে প্রস্তাবিত অতিরিক্ত শুল্ক যেন ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’। এ শিল্পের সুরক্ষার্থে গত বছরের কার্যাদেশের ওপর পূর্বের বাজেটের নিয়মানুযায়ী শুল্ক/কর বহাল রাখতে সরকারের সুবিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।