প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩ ১৮:৩৫ পিএম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। প্রবা ফটো
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ সহায়তা চাওয়া হয়। বৈঠকে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নেতৃত্বে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার ক্রস বর্ডার ট্রেড, আঞ্চলিক পাওয়ার পুল, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক পাওয়ার মার্কেট, নেপাল ও ভূটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ও ই-মবিলিটি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় জ্বালানি খাতের বিদ্যমান ও আগত প্রকল্প নিয়েও আলোকপাত করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়ণযোগ্য উৎস থেকে আগামী দুই বছরের মধ্যে দুই হাজার মেগাওয়ট বিদ্যৎ উৎপন্ন হবে। নবায়ণযোগ্য উৎস থেকে আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে আরও ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পাইপলাইনে রয়েছে। নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত। নেপাল-ভূটান থেকে আরও জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চাই। ভারতের পাওয়ার মার্কেট থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও সক্রিয় বিবেচনায় আছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রিক্যাল ভেহিক্যালের প্রসারেও বিদ্যুৎ বিভাগ উদ্যোগী হয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে ইভি গাইডলাইন/পলিসি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রায় চার মিলিয়ন ইজিবাইক (ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান) চলছে। এখানে লেড ব্যাটারির পরিবর্তে লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করা প্রয়োজন। ট্রান্সমিশনে বিদ্যুৎ লাইন বেসরকারি খাতে দেওয়ার জন্যও বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে।
এ সময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূরুল আলম, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেকটর আবদুলাই সেক, অপারেশন ম্যানেজার দানদান চেন ও অপারেশন অ্যাডভাইজার গায়েল মার্টিন উপস্থিত ছিলেন।