প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩ ১৮:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩ ১৯:৩০ পিএম
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
মাদক মামলায় গত বছর এক লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত আরও ৪১ হাজার ৯৮ জন মাদককারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক থেকে রক্ষার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তার ঘোষণা বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরসহ সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদকে আরও জানান, ২০২২ সালে এক লাখ ৩২১টি মাদক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে এক লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জনকে। এ ছাড়া ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এ চার মাসে মামলা হয়েছে ৩৩ হাজার ১৮৬টি। এসব মামলায় কারাগারে গেছেন ৪১ হাজার ৯৮ জন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ কে যুগোপযোগী করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে ওই আইন সংশোধন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) প্রণয়ন করা হয়। এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তা ছাড়া মাদক কারবারের হোতা ও গডফাদারদের যথাযথ শাস্তি বিধান করে এ আইনে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের বিধানটি সংযুক্ত করা হয়।
শুধু মাদক কারবারি নয়, এ আইনে মাদক অপরাধের পৃষ্ঠপোষক, প্ররোচনাদানকারী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এ আইনের যথাযথ প্রয়োগে সর্বমহল সোচ্চার হলে সমাজে মাদক অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হবে। ভবিষ্যতেও বাস্তবতার নিরিখে আইনটি সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।