× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

টেলিযোগাযোগ উন্নয়ন প্রকল্পে প্রমাণ মিলেছে দুর্নীতির

সৈয়দ ঋয়াদ

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩ ১৩:০৮ পিএম

আপডেট : ১২ জুন ২০২৩ ১৩:০৯ পিএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

টেলিযোগাযোগ উন্নয়ন প্রকল্পে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক। সংস্থাটির অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যন্ত্রপাতি কেনাকাটার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতার দরপত্র বাতিলের প্রমাণ মিলেছে। অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও প্রকল্প পরিচালকসহ কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল দরপত্র রিভিউ প্যানেল।

অভিযোগে যাদের নাম এসেছে তারা হলেন- টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর-উর-রহমান, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসিনুল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম প্রধান মো. মোছলেহ উদ্দিন, বিটিসিএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রফিকুল মতিন।

দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল কানেক্টিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প (এসটিএনপি) অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। একই বছরের ১০ জুন যন্ত্রপাতি ক্রয়ের দরপত্র দলিল ও দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় প্রস্তুতের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয় একই বছরের ১২ ডিসেম্বর।

প্রকল্পটিতে কাজ পেতে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সাত সদস্যের সম্মতিক্রমে এক্স-ফারকে গ্রহণযোগ্য ও সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বাছাই করা হয়। তাতে বুয়েট ও সেনাবাহিনীর বহিঃসদস্যসহ কমিটির সদস্য সচিব প্রকল্প পরিচালক স্বাক্ষর করেন। কিন্তু কমিটিতে থাকা বিটিসিএলসহ সরকারি কর্মকর্তারা মূল্যায়ন প্রতিবেদনের অতিরিক্ত দুই পাতা সংযোজন করে পুনঃদরপত্র আহ্বানের মত দেন।

দুদকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিটিসিএলের রিভিউ প্যানেলে সভায় পরিচালনা পর্ষদের সকল বহিঃসদস্য দরপত্র বাতিলের বিপক্ষে ও বিটিসিএলসহ সরকারি কর্মকর্তারা বাতিলের পক্ষে মত দেন। বোর্ডসভায় দরপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা এক্ষেত্রে ক্রয় আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান এক্স-ফার দরপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ প্যানেলে আবেদন করে। কিন্তু রিভিউ নিষ্পত্তির আগেই একই বছরের নভেম্বরে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে বিটিসিএল। পরে আরও দুবার দরপত্র আহ্বান করে অনির্দিষ্টকালের জন্য দরপত্র স্থগিত করে বিটিসিএল।

এক্স-ফার লিমিটেডের দরপত্র বাতিল করতে প্রতিবেদন কাটছাঁট করে দুই পৃষ্ঠার ভিন্নমত সংযুক্ত করা হয়েছে, যা সরাসরি প্রতারণা/জালিয়াতির প্রমাণ বহন করে। এ ছাড়া সংঘটিত জালিয়াতি গোপন করার অসৎ উদ্দেশ্যে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইনের ধারা ৭(৫) এবং বিধি ৮ (১০) ও ৩৬ (৩) (থ) (২) ভঙ্গ করে দরপত্র মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়নি। পরিবর্তে আলাদা একটি কার্যপত্র দেওয়া হয়েছে।

দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের সিপি নং ৭৩, ৭৪ এবং ৭৬-এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রদত্ত রায়ে দেখা গেছে, বিটিসিএল আইনের ধারা ১৯ ও বিধি ৩৩ প্রতিপালন না করে দরপত্র বাতিল করে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ভর্ৎসনা করেছিলেন। তা ছাড়া কোনো অভিযোগ না থাকলেও কাল্পনিক আবেদনের ভিত্তিতে প্রকল্প পরিচালকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছিল বিটিসিএলের রিভিউ প্যানেল। দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, রিভিউ প্যানেলের এই আদেশ ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ও বিটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে বিটিসিএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রফিকুল মতিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেছে, বিটিসিএল বিষয়টি ঠিক করে দিয়েছে, বিষয়টি দরপত্রদাতা রিভিউ করেছে, রিভিও প্যানেলে আছে- তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না।’

দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা নার্গিস সুলতানা ওই প্রতিবেদন তৈরি করেন এবং মামলার সুপারিশ করেন। তার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বেশ আগেই এ বিষয়ে মামলার জন্য একটি সুপারিশ করেছি।’ এ বছর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি মামলার সুপারিশ করেন বলে জানান। তিনি গণমাধ্যমে এর বেশি কিছু বলতে চাননি। মামলা এখনও হয়নি কেন বা হবে কি না, সে বিষয়েও তিনি কিছু বলতে পারেননি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা