প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৩ ০৯:৪৪ এএম
আপডেট : ১১ জুন ২০২৩ ১১:১৬ এএম
ফাইল ফটো
রাজধানী ঢাকায় বসবাস করা অনেকটা দুর্বিষহ করে তুলেছে বায়ুদূষণ। প্রতিনিয়ত শিল্প-কারখানার ধোঁয়া, যানবাহনের কালো ধোঁয়ার কারণে নির্মল বাতাস পাওয়াটা সোনার হরিণের মতো অসাধ্য হয়ে পড়েছে। সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে থাকে ঢাকার নাম। আজ রবিবারও (১১ জুন) বায়ুমানের দিকে দূষিত বায়ুর শহরের শীর্ষে অবস্থান ঢাকার।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউএয়ার) অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমানের স্কোর ১৫৭। এই স্কোরের কারণে ইসরায়েলের তেল আবিবকে টপকে শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা। ১৫৬ স্কোর নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্বিতীয় এবং ১৫৪ স্কোর নিয়ে তেল আবিব তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। তিনটি শহরের বায়ুমানই অস্বাস্থ্যকর।
এর আগে শনিবার সকাল ৯টায় দূষিত বায়ুর শহরের দিক থেকে ঢাকা ছিল দ্বিতীয় স্থানে। তার আগের দিন শুক্রবার ছিল তৃতীয় স্থানে।
নির্মল বায়ুর শহরের তালিকায় শূন্য স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান কেনিয়ার নাইরোবি। স্কোর ৪ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার দ্বিতীয় এবং স্কোর ৬ নিয়ে জাপানের কেটু তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
একিউআই বায়ুর মান সূচকে ‘ভালো’ মানের বায়ুর ক্ষেত্রে স্কোর শূন্য থেকে ৫০। স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। আর ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।