প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩ ২০:৪৯ পিএম
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩ ২১:০৩ পিএম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। সংগৃহীত ফটো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের জনবল নিয়োগের জন্য একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদকে রাখা হয়নি। তবে কমিটিতে কারা থাকছেন তা জানাননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর বুধবার (৭ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত জানান।
চলতি মাসেই ওই হাসপাতালের ইনডোর সেবা চালু হচ্ছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাতির পিতার নামে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি আমাদের সবার আবেগের জায়গা। এই হাসপাতালের গুরুতর অনিয়ম কাম্য নয়। হাসপাতালে একটি বড় ধরনের নিয়োগ হবে। সেজন্য সেখানে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ওই কমিটিতে উপাচার্য থাকছেন না।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। যে কারণে এ হাসপাতালের নিয়োগ, ক্রয়-বিক্রয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো তারা নিজেরাই নিয়ে থাকে। কিন্তু হাসপাতালটিতে সরকার অর্থায়ন করে। সে হিসেবে অবশ্যই অনিয়মের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। এখানে আসা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হোক, এটি কাম্য নয়। বিষয়টি খুব ভালো করে দেখা হবে।’
২০১৮ সালে বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। সে সময় বলা হয়েছিল, ১৩ তলাবিশিষ্ট হাসপাতালটির এক ছাদের নিচেই মিলবে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা। সিঙ্গাপুরের আদলে তৈরি বাংলাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক মানের এ হাসপাতাল কম ব্যয়ে সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবার মডেল হবে।
ডিআরইউতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম্য আছে। তারা সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীকে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ দালালমুক্ত রাখতে ড্রেস কোড করে দেওয়া হয়েছে। ড্রেস কোড দেওয়া হয় যাতে কে দালাল আর কে কর্মী, তা বোঝা যায়। মন্ত্রণালয় থেকে পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয় তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য। তবে মানুষকেও সচেতন হতে হবে।’
অ্যাম্বুলেন্সের জন্য একটি পৃথক নীতিমালা হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ নীতিমালার আওতায় ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। অ্যাম্বুলেন্সে যা যা থাকা প্রয়োজন তা আছে কি না এবং চালকরা দালালি করে রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় কি না, তা-ও দেখা হবে।’
ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান হোসেনসহ সাংবাদিক নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।