প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩ ২১:৩১ পিএম
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩ ২১:৩১ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন্সের সমন্বয়কারী জন কিরবি। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে অনড় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন্সের সমন্বয়কারী জন কিরবি সোমবার (৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমরা অটল রয়েছি।’
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পদক্ষেপ চেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ছয় কংগ্রেস সদস্যের চিঠি দেওয়ার বিষয়টি কিরবির নজরে আনা হলে এ মন্তব্য করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন হোয়াইট হাউস প্রেস সচিব ক্যারিন জ্য-পিঁয়েরে।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, ‘বাংলাদেশে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়ে ছয় কংগ্রেসম্যান অনুরোধ করেছেন। এ ছাড়াও প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে সেখানে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই চিঠিতে বাংলাদেশের জনগণকে অবাধ ও সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম সুযোগ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এসব বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?’
উত্তরে জন কিরবি বলেন, ‘দেখুন, আমরা আমাদের অবস্থানে অনড় এবং এই যোগাযোগের ব্যাপারেও আমি অবগত। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার লক্ষ্যে আমরা অটল অবস্থানেই আছি।’
কিরবি আরও বলেন, ‘এই প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরতেই পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি থ্রিসি ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচনে ক্ষতিসাধনের চেষ্টা যারা করবে, তাদেরকে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেওয়া হবে।’
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে লেখা ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ছয় কংগ্রেস সদস্য হলেন, বব উড, স্কট পেরি, ব্যারি মুর, টিম বারচেট, ওয়ারেন ডেভিডসন এবং কিথ সেলফ। এদের মধ্যে বব উড ২ জুন নিজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ২৫ মে ওই চিঠিটি প্রকাশ করেন। পাশাপাশিও একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
চিঠিটির বিষয়ে সোমবার বিকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ছয় মার্কিন আইনপ্রণেতার লেখা ওই চিঠিতে অনেক ‘অসামঞ্জস্যতা ও বাড়াবাড়ি আছে, তথ্যের একটা বড় ধরনের ঘাটতি আছে’।
বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে ছয় কংগ্রেসম্যান চিঠি দিয়েছেন, তাদের সঙ্গে সরকার কথা বলবে বলেও জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। পাশাপাশি চিঠিটি সাংবাদিকদের পড়ার এবং খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এরকম চিঠি অতীতেও এসেছে, ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে আসতে পারে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে এ ধরনের কার্যক্রম তত বাড়তে থাকবে।’ ওই চিঠি দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।