প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৩ ১৮:১১ পিএম
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৩ ১৯:০৭ পিএম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিস্থিতির দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের অসহনীয় দুর্ভোগ কমে আসবে।
রবিবার (৪ জুন) বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ৭ বা ৮ জুনের মধ্যে মৌসুমি বায়ু টেকনাফ অতিক্রম করবে। এর এক বা দুই দিন পর কুমিল্লা ও ঢাকা অঞ্চল অতিক্রম করার সময় ওই এলাকায় বৃষ্টিপাত হবে। এতে তীব্র তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। তাপমাত্রা কমলে বিদ্যুতের চাহিদা কমবে। এতে উৎপাদন না বাড়ালেও পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, ’অনেক কেন্দ্রে অর্ধেক উৎপাদন করা যায়। আশা করি, ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এ থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। তাপপ্রবাহ চলায় চাহিদা বেড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ’জ্বালানির জোগান দেওয়া কঠিন হওয়াতে বেশ কিছু দিন ধরে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি যে অসহনীয় তা আমরা জানি। পরিস্থিতির দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। পায়রার জন্য যত তাড়াতাড়ি কয়লা আনা যায় সেই চেষ্টা করছি।’
গত বছরের মতো শিডিউল লোডশেডিং করা যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ’শিডিউল লোডশেডিংয়ে যাওয়ার আপাতত চিন্তা নেই। এখন প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
কেন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ’দুই মাস আগে থেকে আমরা জ্বালানি এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলাম। বিষয়টি অর্থনৈতিক। ঋণপত্র খোলার মতো বিষয় থাকে। সবকিছু সমন্বয় করতে হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। সমন্বয়ে কোথাও বাধাগ্রস্ত হলেই সমস্যা হয়। এবারও তাই হয়েছে।’