প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩ ১১:০৮ এএম
আপডেট : ২০ মে ২০২৩ ১১:২১ এএম
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ তথা ২ কোটি ২৮ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না। ইন্টারনেট দারিদ্র্য সূচকের সর্বশেষ জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ডেটা ল্যাব (ডব্লিউডিএল) সূচকটি তৈরি করেছে।
সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের ১৬৬ দেশের মধ্যে ইন্টারনেট দারিদ্র্যে বিশ্বে বাংলাদেশের র্যাঙ্ক ৭১তম। তবে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইন্টারনেট দারিদ্র্যে বাংলাদেশের র্যাঙ্ক ১৩তম।
ডব্লিউডিএলের হিসাবে বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৬৫ লাখ ৯৭ হাজার ১৪৭। এর মধ্যে নারী ৮ কোটি ৭৭ লাখ ৬২ হাজার ২৮৬। নারীদের ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বা ১ কোটি ৫৩ লাখ ৩৭ হাজার ৮১ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত।
দেশে মোট পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৮৮ লাখ ৩৪ হাজার ৮৬১। পুরুষদের প্রায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ বা ৭৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৯৭ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত।
শতাংশ হিসাবে ইন্টারনেট দারিদ্র্যে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে চাদ। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৮৩ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না। মধ্য আফ্রিকার দেশটির মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ৭৭ লাখের কিছু বেশি।
অন্যদিকে জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে ইন্টারনেট দারিদ্র্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত। ভারতের মোট জনসংখ্যার ২২ কোটি ৯৬ লাখের বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে বঞ্চিত। ১৪২ কোটির বেশি জনসংখ্যা নিয়ে সম্প্রতি চীনকে টপকে বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশে পরিণত হয়েছে ভারত।
ইন্টারনেট দারিদ্র্য পরিমাপের কারণ
ইন্টারনেট দারিদ্র্য পরিমাপের গুরুত্ব বোঝাতে ডব্লিউডিএলের ওয়েবসাইটে বলা হয়-- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও জ্বালানির সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার সক্ষমতাকেও মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ বিনোদন গ্রহণ করে, শিক্ষা লাভ করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটা ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বিশ্বের এক প্রান্তের মানুষ অন্য প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। নিজেদের মধ্যে তথ্য ও সংবাদ আদান-প্রদান করতে পারে।
বিষয়টা যেহেতু এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, তাই ইন্টারনেট দারিদ্র্য পরিমাপের মধ্য দিয়ে এর ব্যবহারের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো যাবে। সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের শনাক্ত করা যাবে।
যেভাবে পরিমাপ করা হয়
অর্থ সংকটের কারণে মাসে কোনো ব্যক্তি যদি অন্তত ১ জিবি ইন্টারনেটও ব্যবহার করতে না পারে, তাকে ইন্টারনেট দরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে ডব্লিউডিএল।
তবে মাসে শুধু ১ জিবি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেই হবে না। তার সঙ্গে আরও দুটি বিষয় আছে।
এক. সক্ষমতা : কোনো ব্যক্তির নিজের মাসিক ব্যয়ের অন্তত ১০ শতাংশ মোবাইল ইন্টারনেটের পেছনে ব্যয় করার সক্ষমতা থাকতে হবে।
দুই. গুণগতমান : কোনো ব্যক্তি মাসিক ব্যয়ের ১০ শতাংশ ইন্টারনেট বাবদ খরচ করেও যদি ডাউন বা আপলোড স্পিড নিয়ে ঝামেলা থাকে, তাকেও ইন্টারনেট দরিদ্র হিসেবে দেখা হবে। ইন্টারনেট দরিদ্রের হাত থেকে বাঁচতে ডাউনলোডের গতি ২০ এমবিপিএস থাকতে হবে।